ভবঘুরেকথা

(তাল-যৎ)
ব্রজে যাব মেগে খাব ঘর ঘর।
সেই ব্রজেশ্বরী রাধা বিনে, প্রাণ কাঁদে তাই নিরন্তর।

ব্রজের খেলা সাঙ্গ করে, এসেছি এই ন’দে পুরে,
সেই দেখা আর এই দেখা রে, হল অনেক দিনের পর।
গোকুলের দুর্গতি যত, সকলই তা আছিস জ্ঞাত,
ঐ দুঃখে প্রাণ ওষ্ঠাগত, এখন মাত্র কন্থা সার।

সখা সখ্য ভাবে মেতে, হারে রে রে আমার ক’তে,
স্কন্ধে যেতে স্কন্ধে নিতে, এমন দিন হবে না আর।
আর খেয়ে ফল পেয়ে মিষ্ট, বলতে আমায় খারে কৃষ্ণ,
সে উচ্ছিষ্ট বড় মিষ্ট, সুধা হতে স্বাদ আমার।

মা যশোদা বেঁধেছিলে, দধি মন্থনের কালে,
বাম পদে ফেলাতে ঠেলে, ধরতেম চরণ যশোদার।
সে সুখ আর বলব কারে, গোলক বৈকুণ্ঠ পুরে,
লক্ষ্মী পূজা করলে মোরে, তত সুখ হবে না আর।

আমি ব্রহ্মজ্ঞায় বশ নাই কখন, মাধুর্য প্রেমের যতন,
নৈলে কি সেই ক্ষুদ্র পরাতন, মেগে খাই বিদুরের ঘরে।
ঐ প্রেমে হয়ে ঋণদায়ী, নবদ্বীপে কেঁদে বেড়াই,
আমার ভাগ্যে ঘটল না তাই, শুধিব রাধার ঋণ ধার।।

মহাজনের হয়ে দেনা, শোধ হতে ছিল বাসনা,
তাইতো এরুপ কাঁচা সোনা, ভাবকান্তি নিয়াছি তাঁর।
হরিচাঁদের রূপরসে, গোলকচাঁদ তরঙ্গে ভাসে,
তারক রে পালিনে দিশে, মন হল না সংস্কার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!