(তাল-একতালা)
যেমন মলিনা মুখী চাতকিনী পাখী, জলদ বান্ধব বিনে।
যেন না হেরী চন্দ্রিমা বদনে, কালিমা চকোরিনী দিশিদিনে।
সখী আছে তেম্নি ধারা, বিনে মনচোরা,
সদা ঝরে দুটি আঁখি।
দিলে যে জ্বালা কেশব, সহেছি সে সব,
আর কি আছে বাকী।
সখী! যে বাঁশির স্বরে, মনোপ্রাণ হরে,
ভুলা’ত কুল কামিনী।
ঐ শুনলো সঙ্গিনী, সে বাঁশির ধ্বনি,
ঠিক যেন ব্রজের ধ্বনি।
সখী! দেখ দেখ চেয়ে, দাঁড়িয়ে কালীয়ে,
মাথায় মোহন চূড়া।
যেন মৃদু সমীরণে, সুধীর গমনে,
নব ঘনে করে কড়া।।
গলের বনফুল মালা, খসাইয়া কালা,
মেরেছে আমার গায়।
যেন করে নবঘন, শিলা বরিষণ,
তেম্নি লেগেছে আমায়।