আগেতে মন বুঝে
আগেতে মন বুঝে
দেখ না খুঁজে,
মানুষ আছে এই মানুষে।।
মানুষকে কে চিনতে পারে,
ও সে বেদের পারে
প্রেম-নগরে বসত করে;
হয়েছে সেই তো খাঁটি, কলের কাঠি
নাড়ছে সদাই ব’সে ব’সে।
কত মধুর লীলা, রসের খেলা
করছে ঘরের ভিতরে ব’সে।।
মানুষে মানুষ আছে,
দেখলে খুঁজে,
মানুষ হ’লে যাবে জানা।
আঁচলে থাকলে সোনা গোপন হয় না,
বাইরে কিরণ প্রকাশে।।
বাঁশে হয় বংশলোচন,
গাভীতে হয় গোরোচনা,
হ’য়ে তুই সোনার বেনে
হচ্ছিস কানা,
রাং কি সোনা দেখ না ক’ষে।।
মৃগতে মৃগমদ
জন্ম-অন্ধ, পায় না দেখতে অদ্যাবধি,
এমনি অবোধ ফণী
মাথায় মণি
থাকতে ভেক-ভোজনে আসে।।
কহে গোঁসাই রমানাথ বাউল
গুপের নাই উল,
তিনটি ত্রিশূল বসবি কিসে?
ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখনি,
রঙ্গ দেখে ম’লাম হেসে।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- বর্ধমান জেলার বেতালবন গ্রামের বাউল সমাবেশ হইতে বিশেষভাবে সংগৃহিত-
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….