আমার যায় না দুখের দিন
আমার যায় না দুখের দিন, হয় না সুদিন,
আমি কিরূপে পাব শ্রীগুরুর চরণ।।
হারায়ে গুরু-বস্তু-ধন,
(আমার) দিনে দিনে দেহ-তরী
পাপেতে হ’তেছে ভারী,
ভব-পারে যাইতে নারি,
কি করি এখন।।
মায়াতে হ’য়ে বদ্ধ
ভুলেছি গুরুর চরণ-পদ্ম,
বিপদ-বাধায় পদে পদে প্রতিবাদী ছয়জন
মন রয়েছে রিপুর বশে,
শমন-ভয় এড়াব কিসে,
মোহন মদন-রসে হ’য়ে মগন।।
হ’ল না রে মোর সাধন করা,
কি গুণে সাঁই দিবে ধরা,
হারাইয়াছি গুরুর বস্তু-ধন।
যে হরি সেই গুরু, ভক্তের কল্পতরু,
কর্ণধার গুরু,
করিলে বীজ রোপণ।।
বীজের অঙ্কুর হয় না, হয় না পাতা,
অযতনে শুকায় লতা।
গোবিন্দের এই মনের কথা
মাণিকচাঁদের শোনে বচন।।
…………………….
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। এই পদটি অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় রাজশাহী ও রংপুর জেলা হতে সংগ্রহ করেন। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….