অনুরাগ ধরে যে জনে
অনুরাগ ধরে যে জনে,
সে বেদ-বিধি না মানে।।
তার সমান শীত-উষ্ণ,
সমান দু:খ-কষ্ট,
সদা থাকে তুষ্ট
কৃষ্ণনাম-গানে।।
অনুরাগ আগে করায় সংসার-মুক্তি,
শিক্ষা-সঞ্চারণ অবিধেয় ভক্তি,
স্বয়ং চিৎ-শক্তি, সাধু-সঙ্গে যুক্তি,
ভক্তি-রাণীর প্রতি চিন্তা রাত্র-দিনে।।
অনুরাগে যে জন সদা থাকে রাগে,
সমঞ্জসায় সাধারণী তিক্ত লাগে;
রতি-নিষ্ঠা রাগ যার হৃদে জাগে,
শুক্ল বস্ত্রের দাগ ঘুচবে কত দিনে।।
চাতকের ধর্ম-কর্ম নিষ্ঠার জোরে,
তৃষ্ণায় যদি মরে, জল স্পর্শ নাহি করে;
অনুরাগের জোরে তৃষ্ণা যায় তার দূরে;
তন্ময়ী সাগরে যাব কতদিনে।।
সান্নিপাতীর ইচ্ছা পান করতে সিন্ধু,
সদগুরু-বৈদ্য না দেয় একবিন্দু;
সেই তো প্রাণের বন্ধু, তরায় ভবসিন্ধু,
কল্লোলের এক বিন্দু পাব কতদিনে।।
গোঁসাই রামকৃষ্ণের বাণী
সুধা-তরঙ্গিনী;
পরা ঠাকুরাণীর চরণ দু’খানি
রাগণীর জোরে
কি না করতে পারে,
রাগহারা হ’য়ে হর দুখী মনে।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- বর্ধমান জেলার বেতালবন গ্রামের বাউল সমাবেশ হইতে বিশেষভাবে সংগৃহিত-
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….