বেকুবানা কই গেল
যে-জন বেকুব তার বেকুবানা কই গেল।
মন-বেকুব পরের ভোলে ঘরে বাতি নিভাল।।
শুন, মন, বলছি বারে বার,
আগে ঘর জেনে কর্ম কর,
ঘর না জেনে মন্দোদরী
নিজ বাণে রাবণ ম’ল।।
কারিকর মোমিন মুসলমান,
সে বেটা জাতের প্রধান,
উলুর ভুঁয়ে সাঁতার দিয়ে
জলুস প্রকাশ করল।।
কথা বলব কি সভায়,
বলতে লজ্জা হয়,
বার নারিকেলে তের ব্রাহ্মণের
ঘাড় ভেঙে তারাই ম’ল।।
সহবত করে তার সন্ধান,
তার আমি কি দিব প্রমাণ,
ঢোঁড়া গোবরে বিষ হারাল,
তারণ তোর ললাটে তাই হ’ল।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পর্যায়ের গানগুলি বীরভূম, বাঁকুড়া, মোদিনীপুর, বর্ধমান, নদীয়া, চব্বিশ পরগণা যশোহর, ফরিদপুর, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলার নানা স্থান হইতে বিভিন্ন সময়ে সংগৃহীত এবং এই মতবাদের সাধিকা নবদ্বীপের শ্রীমতী অমিয়বালা দাসীর গানের সংগ্রহ খাতা ও ঘোষপাড়ার নিকটবর্তী মদনপুরের ফকির আকবর শাহের সংগীত সংগ্রহ খাতা হইতে গৃহীত।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….