ভবঘুরেকথা

রাধারমণ দত্ত

জলের ঘাটোতে বসি

জলের ঘাটোতে বসি ঠার দিয়া কুল মজাইছে ওগো একুল ওকুল দুকুল গোল পারবিনে কুল রাখিতে। শ্যামের নয়ন বাঁকা যৌবন যায়…

ঘাটে কে যাবে গো

জলেবুর ঘাটে কে যাবে গো আয় কাননে বসি ঐ কি শুনি মধুর ধ্বনি শুনা যায়।। বিষম বাঁশির কথা কহন না…

জলে গেছিলাম একেলা

জলে গেছিলাম একেলা একলা পাইয়া শ্যাম বন্ধে খেলিয়াছে রসের খেলা। একলা পাইয়া শ্যাম বন্ধে করছে উলা মেলা বহুরসের খেলা খেলছে…

জলে কি নিবাইতে পারে

জলে কি নিবাইতে পারে প্ৰেম অনল যার অন্তরে। এগো জল দিলে দ্বিগুণ জ্বলে শীতল হয় না গঙ্গাজলে।। বন পোড়ে সকলে…

জল ভর কমলিনী জলে

জল ভর কমলিনী জলে দিয়া ঢেউ, গো শ্ৰীনন্দের নন্দন কালা কদম্বেরি তলে গো।। শুনহে শ্যাম বংশীধারী করি রে বিনতি তুমি…

জলধারা দেও মাথে

জলধারা দেও মাথে গো সখী জলধারা দেও মাথে। জল ডালিয়া জলে গেলাম গো সখী বন্ধু পাইবার আশে কালনাগে ছুপ মারিয়াছে…

জলধারা দেও গো

জলধারা দেও গো সখী মাথে কর্মদোষে পাইলাম না গো শ্ৰী জগন্নাথে। জলের ছলে কলসী কাখে গেলাম যমুনাতে একা পাইয়াও পাইলাম…

জল আনিতে দেইখে আইলাম

জল আনিতে দেইখে আইলাম গো সকি গৌরবরণ বাঁকা। এগো কি কুক্ষেণে শ্যামের সনে হইল আমার দেখা।। হস্তে শ্যামের মোহন বাঁশি…

জন্মের মত দিয়া ফাঁকি

জন্মের মত দিয়া ফাঁকি উড়ে গেল রাধাপাখী।। সুবল রে–কলসী লইয়া কাঁখে আড় নয়নে ঘোমটা টেনে জল আনতে যায় বিধুমুখী আশার…

চল সখী বন্ধু দেখতে যাই

চল সখী বন্ধু দেখতে যাই গে কদমতলায় আড়ে আড়ে শ্যাম নাগারে আমার পানে চায়। বাঁশির সুরে পাগলিনী করছে বাহির রাই…
error: Content is protected !!