রাধারমণ :: বিরহ পদ

হইয়ে শ্যাম অনুরাগী লাগল কলঙ্কের দাগী পিরিতের কি ঐতই দুর্দশা পিরিত সুখের অনল জলেতে না হয় শীতল বাড়ে দ্বিগুণ চিত্তের…

সোহাগের বন্ধুয়া তুমি রে বন্ধু তোমায় নিবেদন করি সোহাগে সোহাগে তোমায় নিবেদন করি।। তোমার সোহাগে বন্ধু রে সোহাগিনী বলে শ্যাম…

সোনা বন্ধে মোরে ভিন্নবাসে কেরে সই গো জিজ্ঞাসিও লাগাল পাইলে তারে।। আমার বাড়ীর সামনা দিয়া-মোহনবাঁশি বাজাইয়া– নিতি নিতি আসা যাওয়া…

সুবল সখা পাইনা রে দেখা, কইও রাধারে। বহু দিনের পরে রে সুবল রাধা পড়ে মনে বিনা কষ্ঠে জ্বলছে অনল হিয়ার…

সুবল বল বল চাই, কেমন আছে কমলিনী রাই, রাই কারণে বৃন্দাবনের সুবল আমি সদায় কান্দিয়া বেড়াই।। গিয়াছিলাম মন সাধিতে, সাধলাম…

সুবল বলনা রে আমি কি করি এখন শ্ৰী রাধার মাধুর্যগুণে হরিয়া নিল মন।। রাধা আমার প্রাণের প্রাণ জীবনের জীবন তিলে…

সহিতে পারি না বিরহের যাতনা আইল না। শ্যাম গুণমণি বুঝি পাইয়া তারে রাখিয়াছে কোন রমণী। আসবে বলে রসরাজ নিকুঞ্জ করিয়া…

সজনি সই বল গো তোরা কই গেলে কোথায় পাই প্ৰাণ বন্ধু মনোচোরা।। না জানি সে লোকটি কেমন কেমন তার স্বভাব…

সজনি প্ৰাণবন্ধুরে কইও বুঝাইয়া আমি মাইলে ক্ষতি নাই কলঙ্কিনী হইয়া। মরণকালে প্ৰাণবন্ধুরে দেখাইও আনিয়া হাতে ধরলাম পায়ে ধরলাম প্ৰাণ দিলাম…

সজনী গো, আমারে বন্ধুর মনে নাই আমি সারা নিশি কান্দিয়া পোষাই।। বন্ধুর লাগিয়া যতই গো করলাম মনপ্ৰাণ কুলমান সবই গো…