ডাকলে যারে দেয় না সাড়া
ডাকলে যারে দেয় না সাড়া,
কাজ কি ডেকে তায়।
সে যে শুনবে আমার মরমের কথা
কি দেখে তা জানা যায়।।
কেমন গঠন, কেমন বর্ণ তার,
কেউ তো কিছু বলতে নারে
বিশেষ সমাচার;
তবু কতজনে কত বলে
শুনে আমার হাসি পায়।।
জন্মাবধি দেখি নাই যারে,
বল দেখি তার অস্তি-নাস্তি
জনাব কেমন ক’রে?
দেখি সবাই তারে ধরবার তরে
অন্ধকারে হাত বাড়ায়।।
কেউ বা বলে স্বর্গে তার থানা,
কেউ বলে সে কোথায় থাকে
যায় না কো জানা;
শুনে আমার মনে লাগলো ধাঁধা
পাঁচজনাকার পাঁচ কথায়।।
কেউ বা তারে পাবার প্রত্যাশে
করে সাধন-ভজন, তীর্থ-ভ্রমণ,
রয় উপবাসে;
কেউবা পরে গেরুয়া বসন,
কেউ বা নিরামিষ্য খায়।।।
তারে আল্লারসুর বলে মুসলমান,
খৃষ্টানে কয় যীশুখৃষ্ট, হিন্দু ভগবান;
ও সে একজনাই সকলই বটে
সন্দেহ কি আছে তায়।।
দেখলাম মনে বিচার করিয়ে,
আছেন আপনি হরি বিরাট রূপে
সাকার সাজিয়ে;
ও সে কি বা সিন্ধু, কি বা বিন্দু,
তার ভিতরেই শোভা পায়।।
দাস গোবিন্দ বলে, গোলোক মতিমান,
তুই রাজার বুঝে কইবি কথা,
হবি রে সাবধান;
সাচ্ কহে তো মারে লাঠি,
ঝুটাতে জগৎ ভুলায়।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- বর্ধমান জেলার বেতালবন গ্রামের বাউল সমাবেশ হইতে বিশেষভাবে সংগৃহিত-
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….