দেখবি যদি সোনার মানুষ
দেখবি যদি সোনার মানুষ দেখতে তোরা আয়।
মানুষ পাঁচ-পাঁচা পঁচিশের ঘরে চাঁদোয়া ধ’রে ব’সে রয়।।
ভজনে সিদ্ধ হ’লে
সেই কথা তারে বলে,
রাখে তায় মাথায় তুলে,
নয়নকোণে ভাব দেখায়।
যেমন মেঘের কোলে বিদ্যুৎ খেলে,
আয়না-মহল ঝলক দেয়।।
চণ্ডীদাস-রজকিনী
যুগল-প্রেম তারি শুনি,
আত্মায় আত্মা মিশায়ে ধনি,
দুই আত্মায় এক আত্মা হয়।
তারা দমের ঘরে বসত ক’রে
নিত্য বৃন্দাবনে যায়।।
রক্ত-কুমুদ অলখ বনে,
সেই খানে বারাম শুনে,
মানুষের খবর জেনে
রূপ-সনাতন ফকির হয়।
তারা বাদশাহী উজিরী ছেড়ে
ছিন্ন কন্থাগলায় লয়।।
বার চাঁদ বার মাসে
চব্বিশ পুর তায় ঘিরেছে,
চৌষট্টি রস মন্থন ক’রে
পঞ্চরসে ছাঁচ বানায়।
মানুষ দমের ঘরে আসন করে,
নয়ন কোণে ঝলক দেয়।।
চার মানুষ চারটি দ্বারে
রয়েছে চাঁদোয়া ধ’রে,
দশ পদ্ম তার ভিতরে
কোন্ পদ্মে কোন্ মানুষ রয়।
ভেবে গোপালচাঁদ দরবেশে বলে
মানুষ দ্বিদল-পদ্মে কথা কয়।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পর্যায়ের গানগুলি বীরভূম, বাঁকুড়া, মোদিনীপুর, বর্ধমান, নদীয়া, চব্বিশ পরগণা যশোহর, ফরিদপুর, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলার নানা স্থান হইতে বিভিন্ন সময়ে সংগৃহীত এবং এই মতবাদের সাধিকা নবদ্বীপের শ্রীমতী অমিয়বালা দাসীর গানের সংগ্রহ খাতা ও ঘোষপাড়ার নিকটবর্তী মদনপুরের ফকির আকবর শাহের সংগীত সংগ্রহ খাতা হইতে গৃহীত।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….