ধরবি যদি অধর মানুষ
ধরবি যদি অধর মানুষ
ভক্তিপথে দাঁড়াও মন,
পার যদি মনফুলে নয়ন জলে
পূজগে গুরুর শ্রীচণ।
চেতন থাকতে দেও না বেড়া,
হুঁশিয়ারে দাও পাহারা,
চৌকি রেখো নয়ন-তারা
ধরার এই করণ।।
হিংসা, নিন্দা কৈতব যাবে,
ভাব-যোগ্য দেহ হবে,
তিমির-আঁধার ঘুইচ্যা যাবে
গুরুর কৃপা হয় যখন।
ধারার উপরে ধারা,
ভক্তিপথে দাঁড়া,
জলধরের এমনি ধারা-
ইচ্ছায় বরিষণ।।
গুরুপদে মেঘ সাজাইয়া
চাতকের ন্যায় থাক না চাইয়া,
নব জলধর বরষিয়া
প্রাণ জুড়াবে ততক্ষণ।
ধারার উপরে ধারা,
স্বভাব ছাইড়্যা ভাবে দাঁড়া,
তার উপরে বিষম চড়া
সঞ্চারে উজান।
সে উজানে যায় যে ভেসে
চইল্যা যাবে বেহাল দেশে,
ভাবের অনুরাগী ভাব-আবেশে,
ইন্দ্রিয়-বশে হয় সাধন।।
…………………….
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। এই পদটি অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় নরসিংদী জেলা হতে সংগ্রহ করেন। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….