এক ডালেতে ফুটেছে দুটি ফুল
এক ডালেতে ফুটেছে দুটি ফুল।
ফুলের রঙ চিনে ফুল বেছে তোল।।
এক ফুলে হয় আদিত্য-কিরণ,
আর এক ফুলে চন্দ্রকান্তি উজ্জ্বল বরণ,
ও তার এক ফুলেতে জীবকে নাচায়
আর এক ফুলে মজার কুল।।
এক ফুলে হয় যুগল কিশোর,
আর এক ফুলে পঞ্চদলে মধ্যে দিগম্বর,
তারা দুজনাতে একই বরণ গো
এক-বোঁটা দুজনের মূল।।
বলে ধন্য মালীর চারার আমি
বালাই লয়ে যাই;
কেউ কারোর সঙ্গে মিশে নাই,
এমন কোথায় দেখি নাই।
ও তার জগৎ জুড়ে পাতা নড়ে,
আসমানে তার গাছের মূল।।
আমার গোঁসাই বলে, চিনবি কিরে,
তুই রে কোন ছার-
তুই রে কোন ভার।
এই ফুলের জন্য সারা ব্রহ্মাণ্ডটা,
কেউ আউল, কেউ বাউল।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- কর্তাভজা সম্প্রদায়ের প্রচারক দুলালচাঁদ ওরফে লালশশী রচিত ‘ভাবের গীত’ নামক পুস্তক হইতে নমুনার জন্য উপরের গানটি এখানে উদ্ধুত করা গেল। এগুলি ঠিক গান নহে, দীর্ঘ কবিতা; অনেকক্ষেত্রে অবান্তর উল্লেখবহুল এবং আসল কথাটি ঢাকিতে গিয়া নানা দুর্বোধ্যতার সৃষ্টি করা হইয়াছে।
লাল শশী কে এরূপ ভণিতাই বা কেন হইল? এরূপ বোধ হয় দু-একটি পাঠক মহাশয়ের মনে উদিত হইতে পারে। কর্তা-ভজন-ধর্ম-প্রচারক স্বর্গীয় রামদুলাল যিনি দুলালচাঁদ বা শ্রীযুত বলিয়া খ্যাত, তাঁহারই রচিত। লালশশী তাঁহার নামের অপভ্রংশমাত্র। (দু) লাল+চাঁদ=শশী।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….