যথা গরল তথা সুধা
যথা গরল তথা সুধা, দুয়েতে এক পাত্রে রয়।
গরল রেখে অন্যান্তরে সুধা খেতে পারলে হয়।।
সুধা গরল এক পাত্রে রে, জানিয়ে যে সাধন করে,
গরল রেখে অন্যাস্তরে সুধা সে জন খায়।
যে সুধা সে-ই অমৃত, সাধকেতে করে বর্ত্ত,
পাইয়ে পরমতত্ত্ব, নিরপেক্ষ ব’সে রয়।।
শুনেছি এক কালনাগিনী, তার কাছেতে বিষের খনি,
যথা ফণি তথা মণি, সাধু-শাস্ত্রে কয়।
আত্ম-তত্ত্ব নাহি সেরে, ধরতে যায় যে অজগরে,
মাণিক পাবার আশা ক’রে,
উল্টে ছোঁ মারে তার গায়।।
মৃগ সিংহ দুইজনে, বসে আছে একাসনে,
হিংসা নাহি কারু মনে,
সাধক তদ্রূপ প্রায়।।
আনন্দমোহিনী বলে, পূর্ণ যে জন সাধক হ’লে,
ফণির মণি নেয় সে তুলে,
মদন ফকির ইহাই কয়।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পর্যায়ের গানগুলি বীরভূম, বাঁকুড়া, মোদিনীপুর, বর্ধমান, নদীয়া, চব্বিশ পরগণা যশোহর, ফরিদপুর, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলার নানা স্থান হইতে বিভিন্ন সময়ে সংগৃহীত এবং এই মতবাদের সাধিকা নবদ্বীপের শ্রীমতী অমিয়বালা দাসীর গানের সংগ্রহ খাতা ও ঘোষপাড়ার নিকটবর্তী মদনপুরের ফকির আকবর শাহের সংগীত সংগ্রহ খাতা হইতে গৃহীত।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….