যার জন্যে বাউল
যার জন্যে বাউল, কেনে সে কাজেতে হচ্ছে ভুল।
নিয়ে জপের মালা, আঁচলা-ঝোলা (মন রে)
মিছে দেশ জুড়ে বলা বাউল।।
ত্যজে রত্ন-সিংহাসন, রূপ-সনাতন ভাই দু’জন,
করে করোয়া ধারণ,
হ’য়ে হালসে বেহাল, দীনের কাঙাল,
(মন রে) তাদের কিসে ছিল অপ্রতুল।।
তুমি কেন ঘামাও মাথা, গায়েতে ছেঁড়া কাঁথা,
ছিলে বা কোথা।
দেখি কপনি আঁটা, দীর্ঘ ফোঁটা,
(মনরে) তোমার মুখে দাড়ি, লম্বা চুল।।
শুনি হরিনাম রসের গাছে,
চার ডালে চার ফল আছে,
কে যায় রে তার কাছে।
শুনি পাতায় পাতায় চন্দ্র গাঁথা (মন রে),
খোঁজ না কোন্ খানে তার বৃক্ষের মূল।।
তোর গুরু বসে কোন্ ফুলে, মৃণালে মৃগ খেলে,
সে ফুল ভাসে কোন্ জলে।
অধীন গোপাল বলে, সেই কমলে (মন রে)
কোন ভ্রমরা বসার হুল।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পর্যায়ের গানগুলি বীরভূম, বাঁকুড়া, মোদিনীপুর, বর্ধমান, নদীয়া, চব্বিশ পরগণা যশোহর, ফরিদপুর, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলার নানা স্থান হইতে বিভিন্ন সময়ে সংগৃহীত এবং এই মতবাদের সাধিকা নবদ্বীপের শ্রীমতী অমিয়বালা দাসীর গানের সংগ্রহ খাতা ও ঘোষপাড়ার নিকটবর্তী মদনপুরের ফকির আকবর শাহের সংগীত সংগ্রহ খাতা হইতে গৃহীত।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….