ভবঘুরেকথা
কাহাদের সঙ্গ ত্যাগ করিবা

-সাধক সৎচিত্তানন্দ

সত্যিকারের ভোজনরসিক মাত্রই জানেন খাবার হইতে কি উপায়ে তাহার প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করিয়া লইতে হয়। খাবারে যৎসামান্য যতটুকু স্বাদই থাকুক না কেনো। প্রকৃত রসিক তিনিই, যিনি তাহা হইতেও সকল রস নি:সরণ করিয়া লইবার ক্ষমতা রাখেন।

অ-রসিকে সেই পথের দিশে পায় না। তাহারা স্বভাবদোষে কেবল দোষ-ত্রুটি খুঁজিয়াই বেড়ায়। কোন্ খাবারে লবণ কম-বেশি, কোন‌ খাবারে চিনি কম-বেশি। কোন খাবারে হলুদ কম-বেশি। মরিচ কম-বেশি। পেয়াজ কম-বেশি। তেল কম-বেশি। ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।

তাহারা কেবলই কম-বেশির বিভেদ বাছিতে বাছিতে সময় পার করিয়া দেয়। অন্যদিকে রসিকজনা যে কোনো খাবার হইতেই তাহার স্বতন্ত্র স্বাদকে উপভোগ করিবার চেষ্টায় রত থাকেন। যদি কোনো খাবার এরূপ হইয়াই যায় যে, তাহা মুখে তুলিবার যোগ্য নহে।

তথাপি তাহারা তাহা লইয়া বিচার-আচার না করিয়া। একই খাবার পূর্বে কোথায়, কবে, কাহার হাতে, কাহার নিবাসে ভোজন করিয়াছিলেন। সেই স্বাদ কিরূপ ছিল, তাহা স্মরণ করিতে করিতে বা বলিতে বলিতে দিশেহারা হইয়া যান। আসলে তাহারা স্বাদের পূজারী।

স্বাদ ভিন্ন অন্য কিছু ভাবিবার অবসর কই তাহাদের? তাহারা সদাই ব্যস্ত স্বাদ লইয়্যা। স্বাদে-আহ্লাদেই তাহাদের চিন্তা-চেতনা ক্রিয়া করিয়া থাকে।

প্রকৃতিতে কিছু প্রাণী আছে। যাহারা ‘ধাঙ্গর’ নামে পরিচিত। তাহারা নোংরা খায় বটে। কিন্তু পরিবেশকে নষ্ট করে না। বরঞ্চ নোংরা খাইয়া পরিবেশকে নির্মল রাখিতে সহায়তাই করে। আবার কিছু প্রাণী আছে যাহারা কেবল নোংরা করিয়াই চলে।

প্রকৃতিতে যত প্রকারের জীব রহিয়াছে তাহার মধ্যে সবচেয়ে উন্নত বলিয়া দাবীদার জীব হইলো ‘মানুষ’। তাহারা যে স্থানে পা রাখিয়াছে তাহাকেই ধ্বংস করিয়াছে। কিছু কিছু জায়গাকে পরিপাটি রাখঢাক করিয়া রাখিলেও তাহার আড়ালে একটা ধ্বংসের গল্প থাকিয়াই যায়।

তবে সকলেই কি এইরূপ? নাহ্। সকলকে একই বৃত্তে ফেলিয়া দেখা ঠিক হইবে না বোধ হয়। মনুষ্য কুলের মধ্যে বড় সংখ্যক মানুষ ধ্বংসলীলার সাথে যুক্ত। এদের একাংশ ইচ্ছাকৃত এই ক্রিয়ায় যুক্ত হইয়া থাকে। আরেক অংশ স্রোতে গা ভাসাইয়া দিয়া সেই তালিকা দীর্ঘ করিতে সদাই মত্ত্ব।

আর গুটিকয়েক মানুষ রহিয়াছে। যাহাদের মানুষ বলিতে দ্বিধা হয় না। তাহারা চেষ্টা চালায় পরিবেশ-প্রতিবেশ-প্রকৃতিকে নির্মল রাখিবার। তবে একথাও বলিতে দ্বিধা নাই যে, তাহাদের মধ্যেও জালি মানুষ রহিয়াছে।

একবার এক দরবার হইতে বহির হইবার সময় এক গুরুভক্ত মানুষ বলিয়া ছিলেন, “মশাই দেখিবেন, মানুষকে বলা হয়- মানুষ হও। কারণ মানুষ হইতে হয়। গরুকে কি বলা হয়- গরু হও? ছাগলকে কি বলা হয়- ছাগল হও?? অন্য কোনো জীবকে বলা হয় না তাকে তা হইয়া উঠিতে হইবে।

তাহারা লোক দেখাইবার জন্য এরূপ কর্মে নিজেকে নিয়োজিত রাখিয়া আনন্দে আটখানা হইয়া থাকে। এতে তাহাদের সামাজিক-রাজনৈতিক-পারিবারিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাইলেও; তাহারা যে আড়ালে মুখোশধারী। খোলসধারী। তাহা প্রকাশ পাইয়াই যায়। তথাপি তাহাদের মায়াজালেই বন্দী হয় বেশি ভাগ লোক।

তবে যাহারা প্রকৃতপক্ষেই মানুষের দাবিদার। তাহারা সেই সকল ধাঙ্গর জীবের অনুরূপ। প্রয়োজনে নিজে নোংরা ভক্ষণ করিয়া হইলেও চারপাশকে সুন্দর রাখিবার নিরন্তর চেষ্টা তাহারা চালাইয়া যান।

আর কিছু লোক রহিয়াছে, যাহারা পারিলে গ্রহণ করা আহারও উগ্রাইয়া দিয়া তাহার চোদ্দগুষ্ঠির শ্রাদ্ধ করিতে কুণ্ঠা বোধ করে না। তাহারা অপরের উপর নিজের বুঝ জোড় করিয়া চাপাইয়া দিতে অধিক পছন্দ করেন। তাহারা সকলকেই অধস্তন বলিয়া জ্ঞান করেন।

অপরকে নিচ-হীন প্রমাণ করিয়া বিজয়ীর হাসি হাসেন। নিজেদের বড় করিবার জন্য তাহাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হইলো অপরকে ছোট প্রমাণ করা। তাহারা প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি-মনস্থিতি নষ্ট করিয়া আনন্দের জোয়ারে ভাসিয়া বেড়ায়।

তাই হয়তো বলা হইয়া থাকে, “মানুষ হইতে হয়। মনুষ্য যোনিতে জন্ম লইলেই মানুষ বলিয়া দাবী করার উপায় নাই। মানুষ হইয়া উঠিতে হয়। অতি যত্নে, অতি ভক্তিতে। অতি যত্নে। অতি বিনয়ে।”

একবার এক দরবার হইতে বহির হইবার সময় এক গুরুভক্ত মানুষ বলিয়া ছিলেন, “মশাই দেখিবেন, মানুষকে বলা হয়- মানুষ হও। কারণ মানুষ হইতে হয়। গরুকে কি বলা হয়- গরু হও? ছাগলকে কি বলা হয়- ছাগল হও?? অন্য কোনো জীবকে বলা হয় না তাকে তা হইয়া উঠিতে হইবে।

তাহারা দোষ-ত্রুটি সন্ধানেই ব্রত। তাহাদের খোঁজ-অনুসন্ধান-গবেষণা সকল কিছুই মূলত ‘দোষত্রুটি’ নির্ভর। তাহারা ইহাতেই আনন্দ পাইয়া থাকে। যদিও বিশ্বাসীকুল বলিয়া থাকেন আত্মার প্রকৃত ধর্ম হইলো সদচিত্তানন্দ। সহজ ভাষায় সদাই আনন্দিত। প্রফুল্লিত।

কেবল মানুষকে মানুষ হওয়ার মন্ত্রণা দেয়া লাগে। কারণ মানুষ হইয়া উঠিতে হয়। মানুষ হওয়া নয়কো সহজ। আর মানুষ না হইতে পারলে মনুষ্যকুলে জন্ম লওয়া বিফলে যায়।”

বিষয়টা তেমনই। তাই না? মানুষ হইতে না পারিলে। বা মানুষ হইবার ভাব দেখাইবার জন্য অভিনয় করিলে প্রকারন্তরে নিজেকেই ঠকাইতে হয়। আর তাহার জন্য অপর সকল মানুষ তো ঠকিতেই থাকে। বিশ্বাস ভাঙ্গিয়া পড়ে।

যাক সে সকল কথা। আবার ফিরিয়া আসি শুরুর কথায়-

দেখা যায়, যিনি প্রকৃত মিষ্টি খাইতে পছন্দ করিয়া থাকেন। তিনি খাইবার পূর্বেই পছন্দসই মিষ্টি বাছিয়া লন। আর মুখে দিবার পর তার প্রকৃত স্বাদ লইবার জন্যে প্রয়োজন বোধে দুই চোখের পাঁপড়ি যুগল এক করিয়া, তার পূর্ণ স্বাদের তৃপ্তি লইবার অভিপ্রায় করিয়া থাকেন।

চেষ্টা করিয়া থাকেন মিষ্টির মাঝে যে মিষ্টত্ব। মিষ্টির মাঝে যে স্বাদ। তাহা ছাড়াও আরো অজানা কোনো কিছু যদি থাকিয়া থাকে তার স্বাদ বাহির করিয়া লওয়া যায় কিনা, সেই চেষ্টা চালান। আর বলা হইয়া থাকে, যিনি এইরূপে স্বাদের সন্ধান করিয়া থাকেন তাহার কাছেই মিষ্টি তার স্বাদ পূর্ণ রূপ খুলিয়া দেন।

আসলে যিনি স্বাদের অন্বেষণ করিয়া থাকেন তিনিই তো স্বাদের সাক্ষাৎ পান। পথিকই তো পায় পথের সন্ধান। তবে যাহার খুঁত ধরিবার স্বভাব। তিনি পিসার হেলানো টাওয়ার দেখিয়াও বলিবেন, এর হেলানোটা তো ঠিকঠাক মতো হয় নাই।

স্বাদের পূজারীর কাছে বিস্বাদের গল্প তেমন জায়গা করিয়া লইতে পারে না। তিনি স্বাদ খুঁজিয়া বেড়ান। তাই তাহার কাছে স্বাদ ধরা দেয়।

কিন্তু কিছু অভাগা থাকিয়াই যায়। যাহারা বিস্বাদের পূজারী। যাহাদের আপনি যতই সুমধুর স্বাদযুক্ত খাবারই সম্মুখে পরিবেশন করুন না কেনো। তাহারা তাহার মাঝেও খুঁত বাহির করিয়া ছাড়িবে। বা বলা যায় করিয়া ছাড়িবেই ছাড়িবে।

তাহারা দোষ-ত্রুটি সন্ধানেই ব্রত। তাহাদের খোঁজ-অনুসন্ধান-গবেষণা সকল কিছুই মূলত ‘দোষত্রুটি’ নির্ভর। তাহারা ইহাতেই আনন্দ পাইয়া থাকে। যদিও বিশ্বাসীকুল বলিয়া থাকেন আত্মার প্রকৃত ধর্ম হইলো সদচিত্তানন্দ। সহজ ভাষায় সদাই আনন্দিত। প্রফুল্লিত।

এই সূত্র ধরিয়া কি আদৌ বলা যাইতে পারে, যথাতথা ভাবে আনন্দ ভাব প্রাপ্ত হইলেই কি আত্মার রূপ দর্শন হয়? আত্মার অস্তিত্ব অনুধাবন করা যায়? এই কথার উত্তর সরাসরি না বলিয়া একটু ঘুর পথে বলিতে গেলে বলিতে হয়- দেহের কোথাও ব্যাথা অনুভূত হইলে, মনে হয় ব্যাথা মুক্ত হইলেই আনন্দ লাভ করিব।

কিন্তু সমস্যা হইলো- জ্ঞানের অহংকারে তাহারা কি করিতেছে তা তাহারা হয় নিজেরাই অবগত হইতে পারেন না। জানেন না বা মানেন না। তাহারা ধরিয়াই লন যে, তাহাদের থেকে বুঝদার মানুষ আর জগতে নাই। এই ভাব লইয়া তাহারা মিষ্টির দোকান তথা জ্ঞানীর দোকানের সন্ধানে ঘুড়িয়া মরেন।

কিন্তু যখন দেহে ব্যাথা থাকে না। তখন কি আমরা আসলেই সুখি থাকি? আনন্দে থাকে?? আবার মল-মূত্রের তীব্র বেগ পাইলেও আমরা অস্থির হইয়া উঠি। মনে হয়, মরিয়াই যাইবো ত্যাগ না করিতে পারিলে। ত্যাগ করিতে পারিলে শান্তিও অনুভূত হয়।

কিন্তু যখন আমরা সেই ত্যাগের তীব্রতা অনুভব করি না; তখন কি মন সদা আনন্দে থাকে? নাহ্! তাহা হয় না মোটেও। আসলে যে কাজে সাময়িক আনন্দ হয়। এবং অপরে নিরানন্দে থাকে। অপরে কষ্ট পাইতে পারে। এমন কর্মের ফলে যে আনন্দ লাভ হয়। তাহা আদৌতে আনন্দ নয়।

তাহাকে বলা হয় জিঘাংসা। যদিও জিঘাংসা শব্দটা বেশ ভারি এই জায়গায় ব্যবহারের পক্ষে। তথাপি এই শব্দটাই ব্যবহার করিতে হইলো। কারণ এই আনন্দ আদৌতে পৌচাশিক আনন্দ। যাহা অন্যের বেদনায় খুশি হইবার আনন্দ। যাহাতে অন্যে কষ্ট পাইতে পারে।

ইহা জানিবার পরও যদি আনন্দ আসে মনে। তবে সেই কারণ আর যাই হোক সদা আনন্দ হইতে পারে না। এইগুলো মনের কু-প্রবৃত্তি। আর এইরূপ কু-প্রবৃত্তি একবার হৃদ-মনে গ্রাস করিলে তাহারা ছাড়িয়া যাইতে চায় না। আকড়াইয়া ধরিয়া থাকে।

আর তাহা আকড়াইয়া থাকিলে অনেক সজ্জন ব্যক্তিও তাহা টের পায় না। তবে এই সকল বিষয়াদিও আদতে কোনো সমস্যাই নহে। কেউ কেউ তো এসব অযাচিত বিষয় লইয়াও থাকিবে। নয়তো এ সকল বিষয়াদি লইয়া ভাবিবে কে? প্রকৃতিতে সমতা হইবে কিরূপে!

কিন্তু সমস্যা হইলো- জ্ঞানের অহংকারে তাহারা কি করিতেছে তা তাহারা হয় নিজেরাই অবগত হইতে পারেন না। জানেন না বা মানেন না। তাহারা ধরিয়াই লন যে, তাহাদের থেকে বুঝদার মানুষ আর জগতে নাই। এই ভাব লইয়া তাহারা মিষ্টির দোকান তথা জ্ঞানীর দোকানের সন্ধানে ঘুড়িয়া মরেন।

আর ইহাতেই যা সর্বনাশ হওয়ার তা হইয়া যায়। তবে এসবও চূড়ান্ত দু:খের কোনো বিষয় নয়। চূড়ান্ত দু:খের বিষয় হইলো। এ সকল লোক তাহাদের মাঝের অপার সম্ভাবনাকে বুঝিতে পারেন না। তারা জ্ঞানের জন্য যে পরিমাণ সময় ব্যয় করিয়া থাকেন। তাহা অন্য অনেকেই করিবার অবসর পান না।

তাহারা জ্ঞানের সন্ধান অপেক্ষা জ্ঞানীর সন্ধানে মত্ত্ব থাকে। তাহারা জ্ঞানীকে নিজ কৃত জ্ঞান দ্বারা হারাইয়া প্রীত হন। তাহারা বলেন বটে, তাহারা অনুসন্ধানীর দল। আদতে তাহারা নিজ জ্ঞান জাহির করিবার অভিলাষে পথ চলে। যাহারা সত্য চর্চা করিয়া থাকে। শুদ্ধ সাধন-ভজন করিয়া থাকে।

তাহাদের খুঁজিয়া বাহির করিয়া। নিজ জ্ঞান দ্বারা পরাস্ত করিয়া আনন্দ লুটিয়া মজা পান। তাহারা অনেকটা সেই সকল রুপকথার সেই সকল রাজার ন্যায়, যাহারা দরবারি কাজ বাদ দিয়া নিছক মজা লইবার অভিপ্রায়ে। বিভিন্ন রাজ্য হইতে লোক জন ধরিয়া আনিয়া হেনস্তা করিয়া সভাসদকের সম্মুখে নিজেকে জ্ঞানী প্রমাণে ব্যস্ত থাকিত।

প্রকৃতপক্ষে তাহারা মিষ্টত্বের স্বাদ না খুঁজিয়া মিষ্টি কি প্রকৃয়ায় প্রস্তুত হইয়াছে। সকল ধারাবাহিকতা মানা হইয়াছে কিনা। তাহা খুঁজিয়া ফেরে জীবনভর।

এইক্ষেত্রে সাত্বিক সাধকগণ খেয়াল রাখিবার চায়, আহার শুদ্ধরূপে রন্ধন হইয়াছে কিনা। শুদ্ধ মানুষ রন্ধন করিয়াছে কিনা। শুদ্ধতার দিকে নজর দেয়া হইয়াছে কিনা।

কিন্তু রাজসিক-তামসিক যৌথ গুণের পথিকরা আদতে শুদ্ধতার চাইতে যে প্রকৃয়াতে মিষ্টি প্রস্তুত প্রণালী তাহার নিজেরা শুনিয়াছে। মিষ্টি প্রস্তুতে তাহা যথাযথ পালন হইয়াছে কিনা। তাহা জানিতেই জীবনের মূল্যবান সময় অপচয়-অবচয় করিয়া থাকে।

তবে যে সকল মিষ্টি বিক্রেতা তাহাদের হুজুর হুজুর জ্ঞান করিয়া থাকে। তাহাদের দেখিলেই মাথা নুয়াইয়া মাটিতে ঠেকায়। পারিলে জিহ্বা দ্বারা পদলেহন করিয়া দেয়। তাহারা সেই সকল মহাজনদের কিঞ্চিৎ মানিয়া লইলেও। বাকি সকলকেই ঘৃণা বা করুণার পাত্রও মনে করিয়া থাকেন না।

আর ইহাতেই যা সর্বনাশ হওয়ার তা হইয়া যায়। তবে এসবও চূড়ান্ত দু:খের কোনো বিষয় নয়। চূড়ান্ত দু:খের বিষয় হইলো। এ সকল লোক তাহাদের মাঝের অপার সম্ভাবনাকে বুঝিতে পারেন না। তারা জ্ঞানের জন্য যে পরিমাণ সময় ব্যয় করিয়া থাকেন। তাহা অন্য অনেকেই করিবার অবসর পান না।

(চলবে…)

কাহাদের সঙ্গ ত্যাগ করিবা: কিস্তি দুই>>

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

…………………………………..
আরো পড়ুন-
কাহাদের সঙ্গ ত্যাগ করিবা: কিস্তি এক
কাহাদের সঙ্গ ত্যাগ করিবা: কিস্তি দুই

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!