কপট সাধু যারা
কি ক’রে পার হ’বি ত্রিবিনায়।
কপট সাধু যারা,
যাচ্ছে মারা
ত্রিধারা ত্রিমোহনায়।।
ত্রিবেণী হয় ত্রিগুণে,
তিন শক্তি বয় সেখানে;
জীবনের মুক্তির কারণে
যোগের দিনে হয় উদয়।
থাকে শক্তিপদে ভক্তি যাহার
মা তারে পারে লইয়া যায়।
পূর্ণিমা-অমাবস্যায়
বান ডেকে বেগ বেশি হয়,
বিষম তরঙ্গ-মালায়
নদীর জল ওঠে কিনারায়।
সেদিন কাম-কুম্ভীরের চোট অতিশয়,
নামিলে কুম্ভীরে খায়।।
যোগসিদ্ধ যোগী যারা,
সেই ঘাটে গিয়া তারা
হেরে নদীর ত্রিধারা,
আনন্দে আত্মহারা হয়।
(ও) কেউ সাধন-জোরে যাচ্ছে পারে
ঘাটে কেউ বা হাবুডুবু খায়।।
ত্রিবেণী তিনটি জোড়া
তাহে বহে তিনটি ধারা,
উল্টা আছে ঘেরা চাঁদোয়ায়!
গোঁসাই চণ্ডী কয়, তাহার কেশীঘাটায়
নিশিতে নরবলি হয়।।
–চণ্ডী গোঁসাই
…………………….
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- চণ্ডী গোঁসাই ফরিদপুর জেলার কোটালিপাড়া গ্রাামের অধিবাসী ছিলেন। ফরিদপুর, খুলনা ও যশোহর জেলার নম:শূদ্রজাতির মধ্যে ইঁহার বহু শিষ্য আছে। ফরিদপুর জেলার নম:শূদ্র জাতীয় এক বৃদ্ধ বাউল চণ্ডী গোঁসাই-এর প্রায় একশত গান-সংবলিত একখানি খাতা আমাকে দিয়াছেন। তাহার মধ্য হইতে কয়েকটি গান লওয়া হইল।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….