মেয়েকে না চিনতে পেরে
মেয়েকে না চিনতে পেরে
ঘটল বিষম দায়;
মেয়ে সর্বনাশী, জগৎ ডুবায়,
মেয়ে ভজতে পারলে পারে যাওয়া যায়।।
ময়ে যাকে স্পর্শ করে,
পাঁজরাকে ঝাঁঝরা করে,
কাঁচা বাঁশে যেমন ঘুণ ধরে,
মেয়ে কটাক্ষ-বাণ হানে যারে,
তার মাথার মণি খ’সে যায়।।
সেই ভয়েতে স্বয়ং শঙ্কর
রাখলেন মেয়ে বুকের উপর,
জয়দেব আদি নব রসিক, আর ছয় গোস্বামী
মাতলো মেয়ের সাধনায়।।
যে বিষেতে মানুষ মরে,
সেই বিষেতে ব্যাধি সারে,
সুজন বৈদ্য দেয় শোধন ক’রে,
তারা জারণ-বড়ি তৈরি ক’রে,
যত বিকারী রোগীকে খাওয়ায়।।
গোবিন্দ গোঁসাইয়ের বচন,
যাতে জনম, তাতেই মরণ,
করতে পারলে তাতে হয় সাধন,
হ’ল কানা বিড়াল কৃষ্ণদাস যেমন
শিকায় দই দেখে কাপাস খেতে যায়।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- বর্ধমান জেলার বেতালবন গ্রামের বাউল সমাবেশ হইতে বিশেষভাবে সংগৃহিত-
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….