মিশবি যদি আয়
মন রে তুই, আমার মনে
মিশবি যদি আয়।
দুই মনেতে এক মন হ’য়ে
চল রে আজব শহর যাই।।
নির্বিকারে চলরে মন আজব সহরে,
আজব আজব দেখবি লীলা প্রেম কপাট খুলে,
সেথায় শুকনা ডাঙায় চলছে তরী
ভেকে হরিগুণ গায়।।
সে দেশের এমনি, ভাই, ধারা,
সেথায় নাই গাছের গোড়া,
আসমানেতে রসের ডাল
ফুল-ফলে ভরা;
সেথায় নাইকো রে জল,
দেখি অ-স্থল,
ভাসলো রাজার গড়ের খাই।।
জন্ম দিয়ে বাপ পালালো,
মা গেল কাশী;
কার ছেলে কে খেলে ঝাল,
খায় পাড়া-পড়শী।
যে জন রসিক হবে,
বুঝতে পারবে,
চাপবে এসে ভাবের নায়।।
সে দেশের এমনি, ভাই, রীতি,
সেথা নাই কো প্রকৃতি,
উল্টো প্যাঁচে ছুঁচোর পোঁদে
গলাচ্ছে হাতী।
সাত দরজা পার হইলে,
নয় দরজায় রাত পোহায়।।
অমাবস্যায় চন্দ্রহরণ,
নাই গতাগতি,
নিতুই নিতুই হচ্ছে সেথায়
প্রেমের উৎপত্তি।
সেথায় সাপে নেউলের পীরিত দেখে
প্রকৃতি তায় মূর্ছা যায়।।
সাত দরজা ডিঙিয়ে পোদো,
করতে গেলি চাষ,
জমির মাথায় আছাড় খেয়ে
হারিয়ে এলি শ্বাস।
সেথায় প্রেমতরঙ্গের হুঁচকো ঢেউয়ে
ভাঙলো জমির নটা-ঘাই।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- বর্ধমান জেলার বেতালবন গ্রামের বাউল সমাবেশ হইতে বিশেষভাবে সংগৃহিত-
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….