মজা দেখবি আয়
আয়, মজা দেখবি আয়,
ভাব-নদীর মাঝখানে,
রসরাজ উঠছে ডুবছে, হাসছে খেলছে,
ডাকছে ভাবুক জনে।।
সৌরভেতে গৌরব ত্রিকূল,
হেরতে হেরতে দিশেহারা,
হচ্ছে প্রাণ আকুল;
ভেবে পাই না স্থূল,
সকলই হয় ভুল,
নদীর ঊর্ধ্বে চড়া,
দু’ধার বেড়া,
মাথা নেড়া
ষট্ কোণে।।
দেখি নদীর একি আজব টান,
নদী ক্ষুন্ন ছিল, পূর্ণ হ’ল,
পড়লো প্রলয়-বান;
বড় তীক্ষ্ম টান,
জীব পড়লে হয় দুইখান,
নদীর লাল জলে ভাসিল দু’ধার
সামলানো ভার সেইখানে।।
গোঁসাই কালা কয় মহাভাবে-
নিষ্কাম নির্বিকার মনে
পার হ’তে হবে;
শোন রে গোপালে,
বসে ভাবলে কি হবে,
ভাব-নদীর কাণ্ডারী হরি,
করণধারী নাও চিনে।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- বর্ধমান জেলার বেতালবন গ্রামের বাউল সমাবেশ হইতে বিশেষভাবে সংগৃহিত-
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….