রাগ না জেনে রাগের ঘরে
রাগ না জেনে রাগের ঘরে যাবি কি ক’রে।
ও তোর ইজ্জত নষ্ট, ততো ভ্রষ্ট হ’ল চিত্ত-বিকারে।।
রাগ বলে কারে রে ক্ষ্যাপা, রাগ বলে কারে,
আমি চিনতাম না তারে।
ও তার কেমন আচার, কেমন বিচার,
কোন্ পথে চলে ফিরে।।
রসরতি দু’টি হয়,
যে করেছে নির্ণয়,
অনায়াসে রাগের ঘরে তালা খোলা পায়।
গুরুর কৃপা হ’লে অবহেলে,
রূপের ঘরে ধরে তারে।।
পণ্ডিত যে জনা, আজন্মা কানা,
শাস্ত্র ঘেঁটে মরে, শাস্ত্রের মর্ম জানে না,
আপন জন্ম-যোগের নাই ঠিকানা,
পরের বিধান দিতে পারে।।
গোঁসাই পরমানন্দে কয়,
বিধান তালপত্রে লেখা নয়,
থাকতে বিকার, সাধ্য কি তার,
সেই শহরে যায়।
মতে, তোর বাসনা যেন ভেকের বাসনা
যেতে সাগর-পারে।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- কর্তাভজা সম্প্রদায়ের প্রচারক দুলালচাঁদ ওরফে লালশশী রচিত ‘ভাবের গীত’ নামক পুস্তক হইতে নমুনার জন্য উপরের গানটি এখানে উদ্ধুত করা গেল। এগুলি ঠিক গান নহে, দীর্ঘ কবিতা; অনেকক্ষেত্রে অবান্তর উল্লেখবহুল এবং আসল কথাটি ঢাকিতে গিয়া নানা দুর্বোধ্যতার সৃষ্টি করা হইয়াছে।
লাল শশী কে এরূপ ভণিতাই বা কেন হইল? এরূপ বোধ হয় দু-একটি পাঠক মহাশয়ের মনে উদিত হইতে পারে। কর্তা-ভজন-ধর্ম-প্রচারক স্বর্গীয় রামদুলাল যিনি দুলালচাঁদ বা শ্রীযুত বলিয়া খ্যাত, তাঁহারই রচিত। লালশশী তাঁহার নামের অপভ্রংশমাত্র। (দু) লাল+চাঁদ=শশী।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….