সাধ্য কার আপন জোরে
সাধ্য কার আপন জোরে যেতে পারে ভব-পারে।
গুরু-কৃষ্ণ যারে কৃপা করে, সে-ই যেতে পারে পারে।।
ভব-নদীর মধ্যস্থলে চুম্বক পাথর সদাই খেলে,
তার আকর্ষণে গলুই খসে,
অমনি তরী যায় গো ফেঁসে,
দাঁড়ী-মাঝি ভাবে ব’সে,
দিশে-হারা সেই নীরে।।
যে নদীতে দৃষ্টি যায় ভুলে,
সে ইষ্ট-নিষ্ট সব হারায়ে ফেলে,
কটাক্ষে তার তরী পড়ে পাকে,
ও তায় এক চাপনে খণ্ড কর।।
যে নদীর হওয়া বুঝে তরী ছাড়ে,
পাল-গুণ তার ছেঁড়ে না রে,
সে ডঙ্কা মেরে চলে যায় পারে।।
গোঁসাই রামলাল বলছে ডেকে,
কামী-লোভী পড়বে পাকে,
রামচন্দ্র, শোন্ বলি তোকে
ভাবে ডুবলে যাবি ভব-পারে।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পর্যায়ের গানগুলি বীরভূম, বাঁকুড়া, মোদিনীপুর, বর্ধমান, নদীয়া, চব্বিশ পরগণা যশোহর, ফরিদপুর, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলার নানা স্থান হইতে বিভিন্ন সময়ে সংগৃহীত এবং এই মতবাদের সাধিকা নবদ্বীপের শ্রীমতী অমিয়বালা দাসীর গানের সংগ্রহ খাতা ও ঘোষপাড়ার নিকটবর্তী মদনপুরের ফকির আকবর শাহের সংগীত সংগ্রহ খাতা হইতে গৃহীত।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….