সেই প্রাণের নিধি আছেন নিরবধি
সেই প্রাণের নিধি আছেন নিরবধি ধরবি যদি কর সাধনা।
এই আত্মারূপে থাকেন সহস্রারে কেউ চেনে, কেউ চেনে না।।
পূর্ব কথা তুমি গিয়েছ তাই ভুলে,
সেই অকূলে কূল দিয়ে যে তরাইলে
প’ড়ে মায়াজালে তারে হারাইলে,
আত্মসুখে হ’য়ে মগনা।।
সেই অবধি, ভাই, তোমাতে রয়েছে,
সর্বদা ফিরিছে তোমার কাছে কাছে,
অনুমানে বল আমায় ছেড়ে গেছে,
বর্তমান আছে দেখ না।।
ভুল সংশোধন কর সাধুর কাছে,
মৃতদেহে প্রাণ পেলে যেমন বাঁচে,
গুরু আত্মরূপে এলেন তোমার কাছে,
তুমি তো তারে চিনলে না।।
আমার গোঁসাই গুরুচাঁদ তাই ডেকে বলে,
রাধাশ্যামরে তুই পাবি তারে জ্যান্তে ম’লে,
ঘরে থেকে ঘরের মানুষ চিনলি না রে,
বাইরে খুঁজলে তারে মেলে না।।
…………………….
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
রাধাশ্যামের পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- রাধাশ্যাম দাসের বাড়ি বীরভূম জেলায়। আহম্মদপুর স্টেশনের নিকটবর্তী চাঁদপুর গ্রামে রাধাশ্যামের গুরু গুরুচাঁদ গোস্বামীর ভজন-আশ্রম। বীরভূম হইতে সংগৃহীত।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….