শ্রীগুরু কাণ্ডারী তরীতে বসাও
মন-মাঝি, শ্রীগুরু কাণ্ডারী তরীতে বসাও।
দেখি, আদ্যনদীর বিষম পাথার,
পাছে এই তরী ডুবাও।।
ও সে ত্রিবেণীর খালে,
বিষম তরঙ্গের জলে
মরবি ডুবে খাবি খেয়ে,
বাঁচবি কার বলে?
তাই বলছি তোরে বারে বারে
চেতন গুরু সঙ্গে নাও।।
যারা বেচে জন-ধনে,
রত্ন-মাণিক কি চেনে?
তাদের সঙ্গে সওদাগরি
পটবে কেমনে?
তাদের পুঁজি নাস্তি, বোঝাই কিস্তি,
ফড়েতে কি জানে ভাও।।
আছে মণি-বাঁধা ঘাট,
দ্বারে মুকুন্দ-কপাট,
চারি চন্দ্র শহরে ফিরে
মাঝখানে তার লাট।
গেলে দেখতে পাবে, সুসার হবে,
আগে সব জ্বালা মেটাও।।
গোবিন্দ ভাবছে বসিয়ে
সঙ্গের সঙ্গী না পেয়ে,
সঙ্গী পেলে এতদিনে
পৌঁছিতাম গিয়ে।
এ সব কারবারীদের কারবার দেখে
যেতে ইচ্ছে নাই কোথাও।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- বর্ধমান জেলার বেতালবন গ্রামের বাউল সমাবেশ হইতে বিশেষভাবে সংগৃহিত-
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….