ত্রিবেণীর তিনধারা
আছে সাত-সমুদ্র তের-নদী
ত্রিবেণীর তিনধারা।
কোন্ ধারায় সুধারা বয়,
করে সহজ মানুষ চলা-ফেরা।।
কোন্ নদী বল শুনি,
মিষ্ট, টক, লোনাপানি,
কোন্ নদীর পানি তিত জহরা।
কোন্ নদী উজান চলে,
কোন্ নদী বয় ভেটেলে,
কোন্ খানে দাঁড়িয়ে
রূপের মানুষকে যায় ধরা।।
কামেল দরবেশগণে
সেই দরিয়ায় দেল-ইমানে
ব’সে থাকে তারা।
বাহ্যকাজ ত্যজ্য ক’রে
থাকে রূপ নেহার ক’রে,
আহা মরি বলব কারে
সহজে কি পূরা।।
রসিক সুজন লোকে
ডুব মে’রে চুপ ক’রে থাকে,
কাহারেও ধরা দেয় না গো তারা।
যখন নদীর হুমো ডাকে,
তখন কিনারায় থাকে,
নঙ্গর করিয়ে রাখে,
জাহাজ আর বজরা।।
অধীন রূপের বাণী,
হীরা-কাঞ্চন, মুক্তমণি,
ছিল মোর এই ডিঙ্গিখানি পূরা।
বাউল চাঁদের বাক্য কে’টে
জন পাঁচ-ছয় কুঠে-মুটে
ভাগ করে নিল লুটে,
আমার সঙ্গে ছিল যারা।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- বর্ধমান জেলার বেতালবন গ্রামের বাউল সমাবেশ হইতে বিশেষভাবে সংগৃহিত-
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….