তুমি দুখ দাও হে
তুমি দুখ দাও হে, দুখ দাও রাধানাথ,
দাও হে সইতে পারি যত দিন।
আমার দুখের বোঝা
হয় না সোজা,
দুখ বইব কি,
আজ তনু হ’ল ক্ষীণ।।
সিঁধ-চুরি আর হামাল খুনী,
দফায় দফায় ঘর-জ্বালানী,-
এই তিন কর্মের কর্মী আমি,
ভবে এসে আমার বাকী রইল তিন।।
দায়মালের আসামী আমি,
দেয় না বোধ কপালে স্বামী,
যদি আইন খেলাপ করেছি আমি,
দ্বীপ-চালানে দাও দন্তে ধরি তৃণ।।
কোথায় আছে বাউল সাধু,
দ্বীপ-চালানে চললো পদু;
আমি খেয়েছি বিজাতীয় মধু
সেই কারণে আজ ছিঁড়লো কৌপীন।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- বর্ধমান জেলার বেতালবন গ্রামের বাউল সমাবেশ হইতে বিশেষভাবে সংগৃহিত-
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….