(তাল-একতালা)
মনা ভাই দেখনা চেয়ে ভবের খেলা, দেখনা চেয়ে ভবের খেলা
সে কথা কেউ ভাবিনে, হয় না মনে দিনে দিনে ডুবল বেলা।
অজপা বল যারে, সে মানুষ হাওয়া ভরে,
এই ঘরে বিরাজ করে, ঘর বেঁধে সাত তালা।
তাঁরে কেউ না চিনি, কেউ না দেখি, বাধ্য করে কেউ না রাখি,
পলকে দেয় রে সব ফাঁকি, শরিকি না শরিক আলা।
পিতৃধন মাতৃধনে, ধনী সবে সেই ধনে,
পিতৃধনে সযতনে রাখলি না মন ভোলা।
তোর মাতৃধন যত্ন যত, যদি পিতৃধনে কিছু হত,
তবে তোর হয়ে যেত, থাকত না সংসারের জ্বালা।
ভবের এই উল্টা বাজী, তাতে মন হচ্ছ রাজী,
হলি না কাজের কাজী, পাজি মন পাগলা।
চিনলি না অমূল্য রতন, যেন কোনদিনে তুই হবি পতন,
কর্ক্কটির গর্ভী যেমন, তাই হলি মন ফুরিয়ে গোলা।
মাতৃ চার ধন বাহিরে, কত না যতন করে,
রেখেছে তাঁর উপরে, সয় না মাটি ময়লা।
কত সুখ পেয়ে যুবতীর সনে, বঞ্চিত হলি পিতৃধনে,
তাইতে তোর মাতৃধনে, নড়াবড়া দুর্বলা ধলা।
হরিচাঁদের চরণ ধন, সেই মোদের সর্বস্ব ধন,
গোলকচাঁদ কয় প্রেমধন, গলায় চাঁদের মালা,
চাই না মোরা আর কোন ধন, মিছে তারক কেন করিস রোদন,
কিসে তুই পাবি সে ধন, ভক্তি সাধন নাই এক তোলা।