(তাল-যৎ)
জন্মি যে জন্যে ব্রহ্মকুলে জান না।
আমি আচরিব গোপধর্ম, ব্রহ্মত্ব পদ রাখব না।
জীবের ঘুচে না জীবত্ব, গৌরবেতে সদা মত্ত,
গুরুতত্ত্ব পরমার্থ, সে তত্ত্ব কেউ নিল না।
আপনি হইয়া নম্র, জীবকে শিক্ষা দিব ধর্ম,
তৃণাদপি শ্লোক মর্ম, নৈলে কেউ তা জানবে না।
কোল দিয়া চণ্ডাল যবনে, হরি বলাই বন্ধু জ্ঞানে,
গোপ হতে কত গুণে, নত হলেম দেখ না।
তোরা দিবি ফল উচ্ছিষ্ট, তাতে আমার কিসের কষ্ট,
ঝড়ু ভুঁইমালীর উচ্ছিষ্ট, মিষ্ট আমার জান না।
রঘুনাথ দাস রূপ সনাতন, তারা রাই রসের মহাজন,
কিসের শুদ্র কিসের যবন, করলে কৃষ্ণ সাধনা।
কৃষ্ণ কথা শ্রবণ জন্য, রামানন্দের কাছে দৈন্য,
কর্মীজ্ঞানীর দর্পচূর্ণ, তা না হলে হবে না।
ব্রহ্মা ছিলেন ব্রহ্মপুরে, হবিউল্লা কাজীর ঘরে,
ভুলিতে পারি তাহারে, গোপীর প্রেম ভুলব না।
ব্রাহ্মণে মান্য যদ্যপি, তবু বলি গোপী গোপী,
করতে এলাম গৌররূপী, গোপীর প্রেম উপাসনা।
গোঁসাই হরিচাঁদে বলে, গোকুলের কুল পাই যে কুলে,
প্রেম দিব তাঁর হৃদয়ে তুলে, যাবে মনের দেবনা।
হীরামন গোলকচাঁদ বদন, মৃত্যুঞ্জয় দশরথ লোচন,
বিলাইল হৃদয়ের ধন, তারক সে ধন পেল না।