রামকুমার চক্রবর্ত্তী বারদী গ্রামে অতি পরিচিত এক পুরোহিতের বাড়িতে বাস করতেন ; তিনি ছিলেন ধীর, স্থির ও শান্তস্বভাব। শাস্ত্রজ্ঞান ও সদাচারের মধ্য দিয়ে প্রকৃত ব্রাহ্মণের গুণাগুণ বিকশিত হয় তাঁর জীবনে।
বাবা লোকনাথ যখন বারদী গ্রামে প্রথমে আসেন, তখন রামকুমার গৃহস্থ আশ্রমে থেকে সবেমাত্র মধ্যবয়স অতিক্রম করেছেন। কিন্তু তখনো তাঁর সদ্গুরু লাভ হয়নি।
অথচ তিনি তখন বুঝতে পারেননি, তাঁর সদ্গুরু সবেমাত্র হিমালয় থেকে নেমে এসে তাঁরই ঘরের কাছে আসন পেতে বসেছেন। জানতে পারেননি অসংখ্য মানুষের মত তিনিও সেই সদ্গুরুর কৃপালাভে ধন্য হবেন।
অবশেষে একদিন বারদীর আশ্রমে ব্রহ্মচারী বাবার কাছে এসে উপস্থিত হলেন রামকুমার। বাবাকে দর্শন করার সঙ্গে করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর মধ্যে জেগে ওঠে জন্মান্তরের সংস্কার। ত্যাগ, বৈরাগ্য ও সাধনার উচ্চতর স্তরে ওঠার বাসনা প্রবল হয়ে ওঠে অন্তরে।
একবার রমণীমোহনের নয় বছরের এক পুত্র দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় ; লোকনাথ বাবার কৃপায় সে নিশ্চিত মৃত্যুর কবল থেকে রক্ষা পায়। প্রাণরক্ষা পাওয়ার পর ছেলেটি রোগগ্রস্থ অবস্থার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে, সে বলে- একদিন রাতে সে যখন অচৈতন্য অবস্থায় পরেছিল। তখন বাবা লোকনাথ, ভগবান গাঙ্গুলী ও বেণীমাধবের সঙ্গে তার দেহে ভর করে কথা বলেন। ছেলেটি অচৈতন্য অবস্থাতেই বলে- বাবা লোকনাথ এসেছেন, ভগবান গাঙ্গুলী এসেছেন।
ওদিকে রামকুমারকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মধ্যে গুরু ভগবান গাঙ্গুলীকে চিনে নিতে ভুল হয় না বাবা লোকনাথের। বহুদিনের প্রতিশ্রুতি এতদিন বসে আছেন এই বারদীর আশ্রমে। তিনি জ্ঞানমার্গের সাধক ছিলেন ; তাঁর মধ্যে ভক্তিরস সিঞ্চিত করে, কর্মযোগে পরিচালিত করে মুক্তির পথ দেখাতে হবে তাঁকে। তিনি তো গুরুর দেহত্যাগের সময় এই প্রতিশ্রুতিই দিয়েছিলেন তাঁকে কাশীধামে।
আজ সেই প্রতিশ্রুতি পালনের সুযোগ এসেছে।
এদিকে রামকুমারও এক অমোঘ আকর্ষণের টানে প্রায়ই ছুটে আসতে থাকেন বারদীর আশ্রমে। বাবাও তাঁকে গোপনে যোগ-সাধনার গুহ্য পদ্ধতিগুলি বলে দেন, যত্ন করে শিখিয়ে দেন। রামকুমারও তাই অনুশীলন করে যেতে থাকেন।
এইভাবে কিছুদিন চলার পর একদিন রামকুমারকে কাছে ডাকলেন বাবা লোকনাথ ; তারপর তাঁকে দীক্ষা দান করলেন। সেই সঙ্গে আদেশ করলেন- তাঁকে এবার গৃহত্যাগ করে পরিব্রাজক সন্ন্যাসীর জীবন-যাপন করতে হবে। তাঁর পূর্বজীবনের সাধনার ভুলত্রুটিকে সংশোধনের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন ও পরিব্রাজনের আদেশ দেন বাবা। আর রামকুমারও মাথা পেতে সে আদেশ গ্রহণ করেন।
এরপর গৃহত্যাগ করলেন রামকুমার। সন্ন্যাসীর বেশে পরিব্রাজনে বার হবার সময় বাবা তাঁকে বললেন- রাম, সময় হলেই আমি তোমাকে কাছে টেনে নেব। যখনই আমাকে স্মরণ করবে, আমাকে কাছে পাবে।
বাবা লোকনাথের গুরু ভগবান গাঙ্গুলীই যে এ জীবনে রামকুমার চক্রবর্ত্তী- সে কথা বাবা নিজমুখে স্বীকার করেন ভক্তদের কাছে।
নিশিকান্ত বসু যখন বারদীতে ডাক্তারি করতেন, তখন তিনি নারিন্দাবাসী রমণীমোহন দাসের সঙ্গে পরিচিত হন। রমণীমোহন বাবার এক পরম ভক্ত ছিলেন। একদিন বাবার এক দৈবলীলার কথা ব্যক্ত করেন নিশিকান্ত বসুর কাছে।
একবার রমণীমোহনের নয় বছরের এক পুত্র দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় ; লোকনাথ বাবার কৃপায় সে নিশ্চিত মৃত্যুর কবল থেকে রক্ষা পায়। প্রাণরক্ষা পাওয়ার পর ছেলেটি রোগগ্রস্থ অবস্থার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে, সে বলে- একদিন রাতে সে যখন অচৈতন্য অবস্থায় পরেছিল। তখন বাবা লোকনাথ, ভগবান গাঙ্গুলী ও বেণীমাধবের সঙ্গে তার দেহে ভর করে কথা বলেন। ছেলেটি অচৈতন্য অবস্থাতেই বলে- বাবা লোকনাথ এসেছেন, ভগবান গাঙ্গুলী এসেছেন।
বাবার এই শ্লেষাত্মক কঠোর ব্যবহার এবং উপেক্ষার ভাব দর্শন করে বিন্দুমাত্র দু:খিত বা বিচলিত হলেন না শরণাগত ভক্ত রজনী চক্রবর্ত্তী। তিনি বাবার এই উক্তির গূঢ় রহস্যের তত্ত্ব বিশ্লেষণ করার জন্য মনের গভীরে তোলপাড় করে চলেছেন। যোগাসনে উপবিষ্ট বাবার পলকহীন দিব্যদেহের জ্যোতির্ময় রূপের দিকে চেয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন যেন কোন এক মহাসিন্ধুর ওপারে।
তার কথা শুনে উপস্থিত সকলের মনে সন্দেহ জাগে। বাবা লোকনাথ আসতে পারেন সূক্ষ্ম দেহে ; কিন্তু তাঁর গুরু ভগবান গাঙ্গুলী তো অনেক কাল আগে দেহত্যাগ করেছেন, তিনি কি করে আসবেন? এই ভগবান গাঙ্গুলী এ জীবনে কে হয়েছেন?
পরে এ বিষয়ে বাবাকে প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি এ প্রশ্নের উত্তরে বলেন- তাঁর পূর্ব জন্মের গুরু ভগবান গাঙ্গুলী, এ জন্মে বারদীর রামকুমার চক্রবর্ত্তী। তাঁর উদ্ধারের জন্যই তো তিনি বারদীতে এসেছেন এবং এতদিন অবস্থান করছেন।
১৮৮০ সালে রজনী চক্রবর্তী নামে একজন ব্যক্তি বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীজীর মুখে লোকনাথ বাবার করুণাঘন রূপের বর্ণনা শুনে, এমন মহাপুরুষ সদগুরু লাভের ব্যাকুলতা নিয়ে একদিন ছুটে এলেন বারদীর আশ্রমে। বাবার চরণ স্পর্শ করা মাত্রেই এমন এক সুগন্ধ তাঁর নাকে এসে লাগল যে, তিনি বুঝতে পারলেন এমন সৌরভ পার্থিব জগতে কোথাও পাওয়া ভার। বাবার অলৌকিক মহিমায় সেই সৌরভে আকৃষ্ট হয়ে প্রায় পনেরো মিনিট যাবৎ বাহ্যজ্ঞান শূন্য হয়ে সমাহিত অবস্থায় বসে রইলেন বাবার চরণপার্শ্বে।
একসময় বাবা কৃত্রিম কঠোরতার ভাব অবলম্বন করে সামনের বারান্দায় রাখা দু’টি কুশাসনের দিকে আঙ্গুলি নির্দেশ করে বললেন- কিরে, এখানে বসে রইলি কেন? ওখানে গিয়ে বস।
বাবার এই কথায় শ্রদ্ধাবনত: চিত্তে বিনয় সহকারে রজনী চক্রবর্ত্তী বললেন- আপনার চরণের কাছেই তো আমার বসবার বাসনা বাবা।
এর উত্তরে লোকনাথ বাবা বিদ্রূপাত্মক কঠিনস্বরে বললেন- বাসনাতেই তো সব মাটি করলি।
বাবার এই শ্লেষাত্মক কঠোর ব্যবহার এবং উপেক্ষার ভাব দর্শন করে বিন্দুমাত্র দু:খিত বা বিচলিত হলেন না শরণাগত ভক্ত রজনী চক্রবর্ত্তী। তিনি বাবার এই উক্তির গূঢ় রহস্যের তত্ত্ব বিশ্লেষণ করার জন্য মনের গভীরে তোলপাড় করে চলেছেন। যোগাসনে উপবিষ্ট বাবার পলকহীন দিব্যদেহের জ্যোতির্ময় রূপের দিকে চেয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন যেন কোন এক মহাসিন্ধুর ওপারে।
এরপর তিনি বাবার কাছে সবিস্তারে বর্ণনা করেন- তাঁর স্ত্রীর জীবদ্দশায় তাঁকে প্রতিজ্ঞা করিয়ে নেন যে, প্রকৃত সত্যলাভের ক্ষেত্রে পবিত্র সাত্ত্বিক জীবন-যাপনের জন্য উভয় উভয়কে সাহায্য করতে পারে, তবে স্বামী-স্ত্রীর ঐহ্যিক সম্পর্ক তাদের মধ্যে থাকবে না। সেই থেকে সংসারে তাঁরা ভাই-বোনের মতই বিচরণ করে এসেছেন।
তাঁর মনে হল, চিত্রের ন্যায় ধ্যানমৌন শ্বাস-প্রশ্বাস হীন গোমুখাসনে উপবিষ্ট বাবার অপলক দষ্টি যেন সারা জগৎব্যাপী বিস্তারিত হয়ে আছে।
কিছুক্ষণ এইভাবে কেটে যাবার পর পুনরায় ঝড়-চেতনার জগতে ফিরে এসে রজনী চক্রবর্ত্তীর পারিবারিক জীবন সম্বন্ধে কয়েকটি প্রশ্ন করে বাবা জানতে পারলেন, বেশ কিছুকাল পূর্বে তাঁর স্ত্রী-বিয়োগ হয়েছে। তাই বাবা তাঁকে বললেন- আমি আদেশ করছি, তুই পুনরায় বিবাহ করে সংসারী হ।
রজনী চক্রবর্ত্তীর তখন ঈশ্বরলাভের তীব্র ব্যাকুলতা বহুদিন আগে থেকেই জাগরিত হয়েছিল। তিনি শুধু অপেক্ষা করেছিলেন একজন মহাপুরুষ সদগুরু লাভের আশায়; সে আশা আজ তার পূর্ণ হয়েছে। লোকনাথ বাবার চরণ স্পর্শে সেই ব্যাকুলতা গভীর থেকে আরও গভীরতর হয়ে উঠল। তিনি বুঝতে পারলেন, শিষ্যকে যাচাই করে নেবার বাবার এক প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত।
তাই তিনি দৃঢ়কণ্ঠে উত্তর দিলেন- বাবা, আপনি আমায় সাধন সম্বন্ধে যে আদেশ করবেন আমি তা আপ্রাণ চেষ্টা করব, কিন্তু পুনরায় বিবাহ করার আদেশ করবেন না; আমার পক্ষে তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
লোকনাথ বাবা অন্তর্যামী। তিনি সবই জানেন, বোঝেন, দেখেন। তবু প্রকৃত শিষ্যের মনের দৃঢ়তা পরীক্ষা করার জন্য প্রশ্ন করলেন- কেন রে, বিয়ে করবি না কেন?
নি:সংঙ্কোচে রজনী চক্রবর্ত্তী উত্তর দিলেন- বাবা স্ত্রীজাতি মাত্রেই আমার মাতৃজ্ঞন হয়েছে।
এরপর তিনি বাবার কাছে সবিস্তারে বর্ণনা করেন- তাঁর স্ত্রীর জীবদ্দশায় তাঁকে প্রতিজ্ঞা করিয়ে নেন যে, প্রকৃত সত্যলাভের ক্ষেত্রে পবিত্র সাত্ত্বিক জীবন-যাপনের জন্য উভয় উভয়কে সাহায্য করতে পারে, তবে স্বামী-স্ত্রীর ঐহ্যিক সম্পর্ক তাদের মধ্যে থাকবে না। সেই থেকে সংসারে তাঁরা ভাই-বোনের মতই বিচরণ করে এসেছেন।
পরম করুণাময় ঈশ্বর এইভাবেই তাঁর সাধন পথের কঠিন বাধাটিকে সরিয়ে দিলেন এবং শ্রদ্ধা-ভক্তিও প্রীতিরভাবে তিনি তাঁর স্ত্রীকে মাতৃত্বের আসন প্রদান করে মায়ের স্বীকৃতি দিলেন।
রজনীর মুখে বিস্তারিত ঘটনা শুনে বাবা লোকনাথ আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে বলেছিলেন- সত্যযুগ কি আবার ফিরে এলো নাকি রে? তবে তুই কেন আমার কাছে এসেছিল? বরং আমারই উচিত ছিল তোর কাছে যাওয়া।
বাবার কথায় প্রভুভক্ত ভৃত্যের মত তিনি উঠে গিয়ে একটা হুঁকোয় তামাক সেজে এনে দিলেন বাবার হাতে। বাবা আনন্দের সঙ্গে প্রসাদ করে রজনীর হাতে দিতেই তিনি বাইরে যাবার চেষ্টা করলেন। কারণ বাবার সামনে বসে তামাক খাবেন, এটা ভাবাও তাঁর কাছে অন্যায়। কিন্তু বাবা বললেন- তোকে এখানে বসে তামাক খেতে হবে।
পরবর্ত্তীকালে এই রজনী চক্রবর্ত্তী লোকনাথ বাবার অহৈতুকী কৃপা লাভ করে যোগ-সাধনার উচ্চাবস্থা লাভ করে রজনী ব্রহ্মচারী নামে সর্বজন খ্যাতি লাভ করেন এবং ভক্তেরও সমাগম হয় তাঁর কাছে।
এই রজনী ব্রহ্মচারীর তামাক খাবার একটি কু-অভ্যাস ছিল বহুদিনের। প্রিয় শিষ্যের এই কু-অভ্যাস ছাড়িয়ে মনকে সংযত করার জন্য এক অদ্ভুত লীলা করলেন।
সেদিন রজনী ব্রহ্মচারী বসেছিলেন বাবার চরণের কাছে। এমন সময় তার মনের মধ্যে তামাক খাবার প্রবল বাসনা জেগে উঠল। কোনোভাবেই তিনি সেই বাসনাকে দমিত করতে পারছিলেন না। অন্তর্যামী বাবা লোকনাথ বর্হিজগতের সব কিছুই যেমন তাঁর অবগত, তেমনি অন্তর্জগতেরও সবকিছুই তিনি জানতে পারেন। রজনী ব্রহ্মচারীর মনে তামাক খাওয়ার ইচ্ছা জাগরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলতেন- তুই আমার কেমন ভক্ত রে? আমাকে একটু তামাক খাওয়াতে পারিস না।
বাবার কথায় প্রভুভক্ত ভৃত্যের মত তিনি উঠে গিয়ে একটা হুঁকোয় তামাক সেজে এনে দিলেন বাবার হাতে। বাবা আনন্দের সঙ্গে প্রসাদ করে রজনীর হাতে দিতেই তিনি বাইরে যাবার চেষ্টা করলেন। কারণ বাবার সামনে বসে তামাক খাবেন, এটা ভাবাও তাঁর কাছে অন্যায়। কিন্তু বাবা বললেন- তোকে এখানে বসে তামাক খেতে হবে।
বাবার আদেশ অনিচ্ছা সত্ত্বেও মানতে বাধ্য হলেন রজনী ব্রহ্মচারী। আশ্চর্যের বিষয় তৃতীয়বার তামাক সেবনের সঙ্গে-সঙ্গেই বহুদিনের কু-অভ্যাসটি তাঁর মধ্যে থেকে চলে গেল। চিরদিনের জন্য।
এই অলৌকিক লীলার মাধ্যমেই বাবা তাঁর শিষ্যের কু-অভ্যাসটি চিরকালের মতো তাড়িয়ে দিলেন।
………………………
সূত্র:
শ্রীযামিনী কুমার দেবশর্ম্মা মুখোপাধ্যায়ের ধর্ম্মসার সংগ্রহ গ্রন্থ থেকে।
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
…………………
আরও পড়ুন-
লোকনাথ বাবার লীলা : এক
লোকনাথ বাবার লীলা : দুই
লোকনাথ বাবার লীলা : তিন
লোকনাথ বাবার লীলা : চার
লোকনাথ বাবার লীলা : পাঁচ
লোকনাথ বাবার লীলা : ছয়
লোকনাথ বাবার লীলা : সাত
লোকনাথ বাবার লীলা : আট
লোকনাথ বাবার লীলা : নয়
লোকনাথ বাবার লীলা : দশ
লোকনাথ বাবার লীলা : এগারো
লোকনাথ বাবার লীলা : বারো
লোকনাথ বাবার লীলা : তের
লোকনাথ বাবার লীলা : চৌদ্দ
লোকনাথ বাবার লীলা : পনের
লোকনাথ বাবার লীলা : ষোল
লোকনাথ বাবার লীলা : সতের
লোকনাথ বাবার লীলা : আঠার
লোকনাথ বাবার লীলা : উনিশ
লোকনাথ বাবার লীলা
……………..
আরও পড়ুন-
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর উপদেশ : এক
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর উপদেশ : দুই
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর উপদেশ : তিন
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর উপদেশ : চার
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর উপদেশ : পাঁচ
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর উপদেশ : উপসংহার