আনন্দধামে সাধুসঙ্গ ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
কোথায় হে দয়াল কাণ্ডারী
এ ভব তরঙ্গে এসে কিনারায় লাগাও তরী।।
সুধি,
জ্ঞানাবতার প্রেমসুধাকর ফকির লালন সাঁইজীর নামাশ্রয় জীবের ভরসা। তাঁরাই জ্ঞান সুধায় সিক্ত হওয়ার আশায় ‘পাককোলা আনন্দধাম’-এ আমরা প্রতি বছর লালনোৎসব করে আসছি। এই বছরেও দয়াল গুরুর অশেষ কৃপায় আমাদের দ্বীন প্রচেষ্টার ৪৪তম বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে।
এই উপলক্ষে পাককোলা আনন্দধামের ৪৪তম সাধুসঙ্গে আপনার পদধূলি আমরা কামনা করি। সেই দিন সাধুসেবার সুযোগ পেয়ে যেন আমরা ধন্য হতে পারি সেই আশায় আমরা আপনার দর্শনের অপেক্ষায় থাকব।
চব্বিশ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে অধিবাস আরম্ভ ২৬শে পৌষ রোজ বৃহস্পতিবার, বিকাল ৪টায় এবং পরদিন পূন্যসেবা গ্রহণের পর ২৭শে পৌষ রোজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় সঙ্গের প্রহর পরিসমাপ্ত হবে। কৃপা করে সঙ্গের সম্পূর্ণ প্রহর আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের ধন্য করবেন, এই মিনতি রাখি। পত্রে আহ্বান ও নিমন্ত্রণ জানানোর জন্য ঘোর অপরাধী। তবে সাধু দয়াময়, মার্জনা ভিক্ষা।
বিনয়াবনত–
ফকির সামছুল শাহ্
ও সহধর্মিণী রঞ্জনা ফকিরাণী (বুড়ি মা)
পাককোলা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
সময়:
২৪ ঘণ্টাব্যাপী সাধুসঙ্গ
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা
৯-১০ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
২৩-২৪ পৌষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
স্থান:
পাককোলা, ছাতারপাড়া, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
আয়োজন ও আমন্ত্রণে:
ফকির সামছুল শাহ্ ও
সহধর্মিণী রঞ্জনা ফকিরাণী (বুড়ি মা)
: অনুষ্ঠান সূচি :
২৬ পৌষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ : ৯ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
রোজ বৃহস্পতিবার
বিকেল ৩:০০-৪:০০ – সাধু আগমন
বিকেল ৪:০০-৪:৩০ – আসন গ্রহণ ও অধিবাস শুরু
বিকেল ৪:৩০-৫:০০ – পাককোলা আনন্দধামের নামকরণ, ইতিহাস, কার্যাবলী ও বিধি বিধান জ্ঞাপন।
বিকেল ৫:০০-৫:৩০ – জ্ঞান রত্নাকর ফকির লালন সাঁইজীর জীবনলীলা স্মরণ।
বিকেল ৫:৩০-৭:০০ – গুরুকর্ম।
সন্ধ্যা ৭:০০-৮:০০ – সমবেত কণ্ঠে গুরুদৈন্য (যন্ত্র ছাড়া খালি কণ্ঠে ভক্তের মিনতি)
রাত ৮:০০-৮:৩০ – দীন ডাকা ও চা-মুড়ি সেবো ও হালকা নাস্তা।
রাত ৮:৩০-৯:৩০ – দৈন্যগান।
রাত ৯:৩০-১১:৩০ – লালন সাঁইজীর গীতজ্ঞানসুধা পরিবেশন (আমন্ত্রিত শিল্পী)।
২৭ পৌষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ : ১০ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
রোজ শুক্রবার
সকাল ৬:০০-৭:০০ – গোষ্ঠ গান।
সকাল ৭:০০-৭:৩০ – গুরুকর্ম।
সকাল ৭:৩০-৯:৩০ – বাল্য সেবা।
সকাল ৯:৩০- বিকেল ৩:০০ – লালনগীতি
বিকেল ৩:০০-৪:০০ – পূর্ণ সেবা।
বিকেল ৫:০০-৫:৩০ – বিদায় অনুষ্ঠান।
সংগীত পরিবেশন করবেন:
কুষ্টিয়া-মেহেরপুরেসহ দেশের
প্রবীন সাধুগুরু ও বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ
: যাতায়াত :
-ঢাকা থেকে-
বাস সার্ভিস:
সরাসরি বাসে (যমুনা সেতু দিয়ে)
গাবতলী, কল্যাণপুর ও সায়দাবাদ থেকে
বাসে করে সরাসরি যাওয়া যায় কুষ্টিয়া মজমপুর গেট।
সেখান থেকে মিরপারগামী বাসে করে আমলা নামতে হবে।
সেখান থেকে ভ্যানে পাককোলা আনন্দধাম আশ্রম।
মজমপুর গেট থেকে মিরপুরগামী সিএনজিতে করেও আমলা যাওয়া যায়।
বাস (পদ্মা পারাপার)
গাবতলী থেকে আরিচা ঘাট
সেখান থেকে লঞ্চ, স্প্রীডবোর্ড বা ফেরীতে করে
পদ্মা পারি দিয়ে ঐপার থেকে বাসে করে সরাসরি কুষ্টিয়া মজমপুর গেট।
সেখান থেকে প্রাগপুরগামী বাসে করে আমলা নামতে হবে।
সেখান থেকে ভ্যানে পাককোলা আনন্দধাম আশ্রম।
মজমপুরপুর গেট থেকে মিরপুরগামী সিএনজিতে করেও আমলা যাওয়া যায়।
গাবতলী থেকে পদ্মা লাইন গাড়ি যায় সরাসরি আরিচা ঘাট
আর ঐ পার থেকে পদ্মা গড়াই গাড়ি যায় কুষ্টিয়া।