(তাল-একতালা)
আমার মন নিল যে জন হরে, পাই কোথায় তারে।
আমি তারি দাসী দিবানিশি সইরে,
আমার তার জন্যে নয়ন ঝরে।।
অরুণ নয়ন যার ভুরু বাঁকা, হায়ে পায়ে উর্দ্ধ রেখা,
যেন চাঁদ হিঙ্গুল মাখা, হ’ল কি ক্ষণে তার সঙ্গে দেখা সইরে,
নিল সেই হ’তে পাগল করে।।
আমি গৃহী কি বনচারী, সন্ন্যাসী কি ফকিরী,
কিছু বুঝতে না পারি, আমি কি করিতে কিনা করি সইরে,
আমি চিনতে নারি আমারে।।
যত ধর্ম কর্ম জগতে, সাধন ভজন সাধুতে,
করে বহুবিধ মতে, আমার মন মজেনা তার কিছুতে সইরে,
কেবল চায় সে প্রাণনাথেরে।।
তোরা গৃহে যেতে বলিস সই, কি ধন লয়ে গৃহে রই,
আমার সাধনের ধন কই, বুকে ধানটা দিলে হয় পুড়ে খই সইরে,
তোরা দেখনা আমার বুক ধরে।।
মহানন্দ কয় মানুষ রতন, পেল গোলক হীরামন,
তারা জুড়াল জীবন, তারক নাই তোর সাধন, করগে রোদন,
হায়রে, গুরুচাঁদের চরণ ধরে।।