ব্যারিস্টার রূপে প্রমথ রঞ্জনের কার্যাবলী
উনিশ শ’ তিরিশ অব্দে আসিলেন দেশে।
কলিকাতা বসিলেন ব্যারিস্টার বেশে।।
মধুর সুন্দর মূর্তি তেজস্বীতা ভরা।
জ্ঞানে গুণে আলাপনে সকলের সেরা।।
প্রধানমন্ত্রীর ভাগে বঙ্গীয় সভায়।
তপশীলী জাতি মাত্র “দশাসন” পায়।।
বড়ই অন্যায্য তাহা সকলেই কয়।
বঙ্গদেশে তার জন্য আন্দোলন হয়।।
“অনুন্নত জাতি সঙ্গ” বলি পরিচয়।
প্রমথ রঞ্জন এক সমিতি গড়ায়।।
রায় বাহাদুর নাম রেবতী মোহন।
ঢাকার জিলায় বাস করে সেইজন।।
সভাপতি এই সংঘে হইলেন তিনি।
প্রমথ-রঞ্জন সহ-সভাপতি জানি।।
পুণা-চুক্তি বলে হ’ল তিরিশ আসন।
বড়ই আনন্দ পেল অনুন্নত গণ।।
বঙ্গবাসী বর্ণহিন্দু তা’তে সুখী নয়।
দেশভরি আন্দোলন করিয়া বেড়ায়।।
প্রমথ রঞ্জন লিখি’ বহু পত্রিকায়।
সেই মনোবৃত্তি নিন্দ করিলেন তায়।।
খুলনা জিলার মধ্যে লক্ষ্মীখালী গাঁয়।
এর প্রতিবাদে এক জনসভা হয়।।
প্রমথরঞ্জন তা’তে হন সভাপতি।
দেশবাসী লোক তা’তে আনন্দিত অতি।।
উনিশ শ’ তেত্রিশ সালে অনুন্নত জাতি।
ফরিদপুরেতে তারে করে সভাপতি।।
ফরিদপুরেতে লাট করিল গমন।
প্রমথ রঞ্জন সঙ্গে নিয়ে কত জন।।
লাটের নিকটে এক দিল “ডেপুটেশন”।
অনুন্নতে দুঃখ যত করে আলাপন।।
প্রমথ রঞ্জন পরে আসি কলিকাতা।
লাট সঙ্গে তার গৃহে কহিলেন কথা।।
তার সঙ্গে আলাপনে লাটে সুখ পায়।
প্রমথ রঞ্জন পরে বহু স্থানে যায়।।
গুণবান দেখি যত উচ্চ হিন্দুগণে।
কন্যা বিয়া দিতে চায় প্রমথরঞ্জনে।।
প্রমথ রঞ্জন তা’তে বাধ্য নাহি হয়।
নিজ সমাজের কন্যা খুঁজিয়া বেড়ায়।।
দিকে দিকে প্রমথের উঠিতেছে যশ।
তাহা শুনি প্রভু খুশী ওড়াকান্দি বাস।।
বিধির বিধান দেখ নরে অগোচর।
ইতিমধ্যে সত্যভামা ত্যজে কলেবর।।
এবে শুন বলি আমি সেই পরিচয়।
কোন ভাবে সত্যভামা দেহ ছেড়ে যায়।।