ও নবীন কিশোর রে পরান কাঁদে তোমার লাগিয়া
রে নবীন কিশোর রে-
আমাবতির কামাই পেয়ে আসলে যে-দিন
অমাবস্যায় চাঁদের হাসি
আমি দেখেছি সেই দিন।।
আমার মতো তুমি মোরে ভালো তো বাসো না,
আগের মতো তেমনি ভাবে রে
একদিন বেড়াতে আসো না।।
নিঠুর পুরুষজাতি পরানে নাই টান,
শুকাইয়া হলো ধুলিরে
কতো বাঁধাখিলিপান।।
একে তো আষাঢ়ে বাদল বের হবার নাই ফাঁক,
আমি দক্ষিণবাগে বসে শুনিয়ে
তোমার কাঁচা স্বরের ডাক।।
তুমি থাকো বিলে মাঠে আমি ঘাটে যই,
আষাঢ় মাসে পিছল পথে রে
আমি কতো আছাড় খাই।।
পুকুরঘাটে দেখে গেলো ঠাকুরবাড়ির বুচি,
ঘোমটার তলে আঁচল দিয়েরে
আমি আঁখির বারি মুছি।।
ফোটা পদ্মের বোটা ভাঙ্গ গেয়ে ভাইটালসুর,
মূলে হস্ত দিয়ে দেখ রে তার
শিকড় কতো দূর।।
পুরুষ প্রকৃতির মিলন হাসি কান্নার ঘর,
পাগল বিজয় বলে, বেড়েছে তাইরে
এতো প্রেম-পিরিতির দর।।