ও রে মনের ধুক্ বলবো কারে, শোন্ ভাই সকল,
আমি হয়েছি উলাই পাগল,
-ছয়জনা আমার দেহের মদ্দি করে গোণ্ডগোল।
আমার আমি তাই চিনলাম না রে,
-আমি ভুলেছি সেই গুরুর বোল
লোকে বলে হয়েছিস্ পাগল।
আমি কেমন করে যাবো ভবপারে,
আমার পারের নাই সম্বল।
সেই পারের ঘাটে দিচ্ছে খেওয়া গুরু কর্ণধার,
-সে যে ধারে না পয়সারই ধার,
রসিকজনা পাইলে পরে ওমনি করে পার।
ও যদি প্রেম রসিকা হইতে পার
আগে বান্ধরে সেই প্রেমের ধার,
-গুরুর চরণ কর রে নেহার;
ও সেদিন গুরু হবে ভবতরী ভাই
শিষ্য হবে কর্ণধার।
পাগলা কানাই বলে -শোন্ রে কোরবান, কই তোরে
ও তুই যাবি যদি ভবপারে,
গুরুর চরণ সম্বল রাইখা চড় ইষ্টিমারে।
সে যে অনায়াসে পার করে নিবে
গুরুর ঐ চরণের জোরেতে,
-পয়সা কড়ি লাগবে না পারেড়,
ও সেদিন চরণ টিকিট দেখাইলে ভাই
ওমনি দিবে ছাড়ে।
:: গুরুতত্ত্ব