কতো ভালো লাগে তোমারে
কিশোরবন্ধু বাঁশরিয়ারে।
তোমার বাঁশি শুনে বনে আসি
সকল পাশরিয়ারে।।
রোজ বিকালে এই পথ দিয়ে এমনি করে যাও
আড়বাঁশি বাজায়ে তুমি আড়নয়নে চাও।
তোমার আসার সাড়া পেয়ে
আশাপথ থাকি চেয়ে;
কবে আসবে তুমি এই পথ বেয়ে
বাঁশরি বাজাইয়ারে।।
কি যেন কি জানে তোমার বাঁশের বাঁশির গানে
কতো সুন্দর লাগে বন্ধু বুঝি না তার মানে।
না-বোঝা সেই গানের ভাষায়
কেন আমায় কাঁদায় হাসায়;
আমায় একবার ডুবায় একবার ভাসায়
মরমে মরিয়ারে।।
জীবনে দেখি নাই তোমায় তবু যেন চিনি
অজানা কি এতো আপন সকল আপন যিনি।
আমি কবে আপন হোব
গোপন ব্যথা ভেঙ্গে কবো;
কবে আমার আমি তোমায় দেবো
সহজে ডারিয়ারে।।
চকিত চরণে মানুষ এসে বাড়ির ধারে
আঘাত দিয়ে ফিরে যায় যে মনের গোপনদ্বারে।
পাগল বিজয় বলে, এমনি করে
কতো বার সে গেছে সরে;
আমি ঘুরে মরি জনমভরে
আপনা হারাইয়ারে।।