(তাল-যৎ)
তুই চল কানাই লয়ে যাই বৃন্দাবনে।
তুই ব্রজ ছেড়ে আসবি কানাই, স্বপ্নেও তা জানিনে।
কত মেরেছি ধরেছি তোরে, গেরুয়া খেলা খেলেছিরে,
কাঁধে চড়েছি জোর করে, লয়ে তোরে গহনে,
সেই দোষে ভাই গুণনিধি, মোদের করলি অপরাধী,
যেমন কর্ম তেম্নি বিধি, বঞ্চিত রে তোর চরণে।
যে দিন ছেড়ে এলি প্রাণ কানু, তোর শোকেতে জীর্ণ তনু,
উর্দ্ধমুখে কাঁদে ধেনু, মোহন বেনু না শুনে,
রাখাল বধলি নাই তোর কসুর, কি দোষেতে ওরে নিষ্ঠুর,
বধলিরে তোর গরু বাছুর, মহিষ ম’ল তোর বাথানে।
একদিন গাভি ছানা কঠিন ডোরে, মা যশোদা বাঁধল তোরে,
সেই দোষে মায়ের ত্যজ্য করে, এলিরে ভাই এখানে,
মাকে দিব করে মানা, কোমল করে আর বাঁধবে না,
ঘর লুঠে খাস মাখন ছানা, যতরে তোর লয় মনে।
একদিন কমলিনীর প্রেমের ছলে, দাসখতে দাস স্বীকার হলে,
স্বহস্তে দস্তখৎ দিলে, দায়িক হলে প্রেম ঋণে,
সেই মহাজনের ত্রাসে, রূপ ঝেঁপে পালালি এসে,
সে মেয়ের হাত বাঁচবি কিসে, চিনবে বাঁকা নয়নে।
তুই সে মনের মানুষ রসের গোরা, গুরুচাঁদের হৃদয় ধরা,
মনোচুরি করে চোর, পালাইবি কোনখানে,
গোলকচাঁদ তোর বিরাগ ভরে, ডুবল রে তোর ভাব সাগরে,
কর্মীজ্ঞানী তারকেরে, অন্তে রেখ চরণে।