ছয় গন্ডুষ জলে মুখ ধুইয়া পূর্ব্ব বা উত্তরমুখ হইয়া দ্বাদশ অঙ্গুলি পরিমিত সরলকাষ্ঠ মূলের দিক ধরিয়া-ৱ
আয়ুর্ব্বলং যশোবর্চ্চ প্রজা: পমুসসূনি চ।
ব্রহ্ম প্রজ্ঞাঞ্চ মেধাঞ্চ ত্বনো দেহি বনস্পতে।।
এই মন্ত্রে দন্তকাষ্ঠ শোধন করিয়া অগ্রভাগ দ্বারা শান্ত ও মৌনভাবে দন্ত মাজন করিবে। (সাধারণ লোক নিজ রুচি অনুযায়ী ভালরূপে মাজনা করিবে) কেহ কেহ মাজন ব্যবহার করেন।
দন্তধাবন না করিলে দেহশুদ্ধি হয় না। কিন্তু একাদশ্যাদি যে কোন উপবাস দিনে, শ্রাদ্ধবাসের পত্র বা দ্বাদশ গণ্ডুষ জল দ্বারা দন্তশোধন করিবে। পলাম, বট, অশ্বত্থ, অপমার্গ, বিল্ব, করবী, আকন্দ, পারুল, আম্র ইত্যাদি বাদে অন্যান্য ক্ষীরবিশিষ্ট কটু, তিক্ত, কষায়, রসবিশিষ্ট সরল কাষ্ঠই বিহিত ও উপকারী। প্রত্যহই প্রাতে বা স্নানকালে ঐ জলে কাষ্ঠ দ্বারা ধনুকাকারে জিহ্বা মাজন করিবে।
……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস