সাধুজন মন দিয়া করহ শ্রবণ।
দেশকালপাত্র কথা করি যে বর্ণন।।
সাধকের মার্গ হয় চতুর্থ প্রকার।
গার্হস্থ্য ও বানপ্রস্থ শুন কহি আর।।
ব্রহ্মচর্য্য ও সন্ন্যাস হয় চারি স্তরে।
স্থূল প্রবর্ত্ত সাধক সিদ্ধি এই নাম ধরে।।
দেশ কাল পাত্র আর আশ্রয় কথন।
আলম্বন উদ্দীপন এ ছয় লক্ষণ।।
স্থূল আদি চারি স্তরে আছে এই ছয়।
ক্রমে এই সব তত্ত্ব করহ নির্ণয়।
জীবাত্মায় বাসস্থান মাতৃ অষ্টদলে।
চতুবিংশ তত্ত্ব দেহ তাকে দেশ বলে।।
দেহধারী জীব যবে গর্ভে জনময়।
কাল অর্থে বুঝাইবে সেই সে সময়।।
পিতৃ মাতৃ শুত্রু শোণিত তাতে দেহ ভর্তা।
আহারাদি ক্রমে করি পাত্র হয় কর্ত্তা।।
নিত্য নৈমিত্তিক কর্ম্ম প্রায়শ্চিত্ত আদি।
আলম্বন সেই সব কার্য্য নিরবধি।।
দেখিয়া শুনিয়া হয় ভাবের উদয়।
উদ্দীপন বলি তারে সাধুজন কয়।।
স্থূল প্রাকৃত দেহ পঞ্চভূতময়।
বেদাদি কার্য্যেতে স্থূলদেশ পরিচয়।
কৃষ্ণ প্রাপ্তি কার্য্যে থাকে প্রবৃত্তি যাহার।
কার্য্য করে সেই দেহ প্রবর্ত্ত দেশ তার।
শ্রীকৃষ্ণ কার্য্যাদি যারা করয়ে সাধন।
দেহ সেই হয় সাধকদেশ কথন।।
শ্রীকৃষ্ণ কার্য্যাদি কর্ম পূর্ণ করে যেই।
সিদ্ধিদেশ বলি আখ্যা হয় দেহ সেই।
……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস
2 Comments