নিজে গেয়ে নিজে শুনিস নিজের গান।
তোর গান তোর মন মতো হলে জুড়াবে সকলার প্রাণ।।
কোন্ মোকামে গানেরসুর ভাসে
কোথা গিয়ে কোন্ পথ দিয়ে বাহিরে আসে;
তুই বসে সেই সুরের এক পাশে
করিস শুধু তাহার ধ্যান।।
অনাহতে নাদবিন্দু ফোটে
সংঘাতে সংযত হয়ে তদুর্ধ্বে ছোটে;
শেষে বিশুদ্ধেতে বেজে ওঠে
বীণাপাণির বীণার তান।।
জীবন ভরে যে গান গেয়েছিস
ঘরকে না শুনায়ে গান পরকে শুনায়েছিস;
তুই এই গান গেয়ে কি পেয়েছিস
হিসাব নাই তোর লাভলোকসান।।
তোর কণ্ঠে যে সুর ছিলো মধুর
সে শ্রোতা হয়ে তোর গান শোনে দাঁড়ায়ে অদূর;
তুই সুর পেয়ে সেজেছিস অসুর
করলি না সে সুধা পান।।
পাগল বিজয় বলে, সরকারি পেশায়
জীবন ভরে গান গাহিলাম যশ মানের আশায়;
শুধু দিন কাটালো মোর স্বার্থ সেবায়
পরমার্থ হলো ম্লান।।