(তাল-একতালা)
বিপাকে পড়ে গৌর গেলাম মারা।
হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ভেবে হলেম সারা।।
কাম নদীর তরঙ্গ ভারী, কখন যেন ডুবে মরি,
তরঙ্গে নাচিছে তরী, কখনে কি হয়।
বিষম জলের বাড়ী লেগে, জল উঠিছে মহাবেগে,
শ্রীচরণে দোঁহাই লাগে, ডুবাইও না পাপের ভরা।।
বড় আশা ছিল মনে, পদে আত্ম সমর্পণে,
থাকিব নিশ্চিন্ত মনে, যাবে ভাবনা।
তা হ’ল না কর্মদোষে, প্রাণে মারা যাই বিদেশে,
এ তরী বাঁচিবে কিসে, বানচেরা বাতাস মুহাড়া।।
এসে এ নদীর মাঝখানে, ডুবে ম’লেম জানে প্রাণে,
বিষম নদীর ঘোর তুফানে, হওহে কর্ণধার,
এ বিপদে শুধায় ডেকে, এমন বান্ধব আমার আর কে,
এই বিষম গোলার জলের পাকে, গৌরহরি ত্বরাও ত্বরা।।
একে আমার জীর্ণ তরী, তাতে হল বোঝাই ভারী,
নাই দাঁড়ি নাই কাণ্ডারী, অকুল পাথারে,
কোন দিকে যাচ্ছে তরী ভেসে, মোটে তাহার পাইনে দিশে,
বেহুঁশ হয়ে আছি বসে, ডুবল তরী পাপে পোরা।।
গুরুচাঁদ কয় সবার কাছে, কেঁদে কেন মরিস মিছে,
হরিচাঁদ কাণ্ডারী আছে, ধরিবে ডোবা যান,
মহানন্দ ডেকে বলে, গোলকচাঁদের প্রেম হিল্লোলে,
হরে দেরে বাদাম তুলে, ডুববে না তোর সাধের ভরা।
……………………………………………………..
হরিবর সরকার