মতুয়া ধর্মের প্রবর্তক শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর প্রদত্ত ১২টি আজ্ঞা অর্থাৎ দ্বাদশ আজ্ঞা যেমন দিয়েছেন। তেমন দিয়েছেন কিছু নিষেধাজ্ঞা। এর প্রধান সাতটি নিষেধাজ্ঞা অবশ্য পালনীয়। এই সাতটি নিষেধাজ্ঞাই সপ্ত নিষেধাজ্ঞা নামে পরিচিত-
১. ভিন্ন গুরু ও ভিন্ন দল না করা:
মতুয়ার এক গুরু ভিন্ন গুরু নাই।
মধ্যস্বত্ত্ব জমিদারি ধর্মক্ষেত্রে নাই।।
ভিন্ন ভিন্ন দল কেহ করো না গোসাই।
২. নারী দিয়ে অঙ্গ সেবা না করা:
নারী দিয়ে অঙ্গসেবা হবে ধর্মক্ষয়।
তেল ঘসা অঙ্গসেবা মহা ব্যাভিচার।
৩. পরনারীকে মাতৃ জ্ঞান করে দূরে থাকা।
৪. পরিহাস বাচালতা কখন না করা।
৫. মদ গাঁজা না খাওয়া এবং চুরি না করা।
৬. তাস-দাবা-জুয়া খেলা সব ছেড়ে দিতে হবে।
৭. কাউকে ভয় করার দরকার নেই।
হরি বলে ডঙ্কা মার শঙ্কা কর কারে।
শ্রীহরি সহায় তব, সাথে সাথে ফেরে।।
এছাড়া ভেকধারী বৈরাগীকে ভিক্ষা দিতে মানা করা হয়েছে, কারণ তাদের ভিক্ষা দিলে ব্যভিচার আরো বেড়ে যাবে।
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
……………………………
আরো পড়ুন:
গুরুচাঁদের বারো গোঁসাই: এক
গুরুচাঁদের বারো গোঁসাই: দুই
গুরুচাঁদের বারো গোঁসাই: তিন
শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর ও নবযুগের যাত্রা: এক
শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর ও নবযুগের যাত্রা: দুই
শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর ও নবযুগের যাত্রা: তিন
তারকচাঁদের চরিত্রসুধা
অশ্বিনী চরিত্রসুধা
গুরুচাঁদ চরিত
মহান ধর্মগুরু হরিচাঁদ নিয়ে প্রাথমিক পাঠ
হরিলীলামৃত
তিনকড়ি মিয়া গোস্বামী
শ্রী ব্রজমোহন ঠাকুর
……………………………
আরো পড়ুন:
মতুয়া ধর্ম দর্শনের সারমর্ম
মতুয়া মতাদর্শে বিবাহ ও শ্রদ্ধানুষ্ঠান
মতুয়াদের ভগবান কে?
নম:শূদ্রদের পূর্ব পরিচয়: এক
নম:শূদ্রদের পূর্ব পরিচয়: দুই
মতুয়া মতাদর্শে সামাজিক ক্রিয়া
বিধবাবিবাহ প্রচলন ও বর্ণবাদীদের গাত্রদাহ
ঈশ্বরের ব্যাখ্যা ও গুরুচাঁদ ঠাকুর
বিধবাবিবাহের প্রচলন ও গুরুচাঁদ ঠাকুর