উত্তম জন্মসংপ্রাপ্ত আত্মানং যোনি তারয়েৎ।
স নরশ্চাত্মঘাতীস্যাৎ পুনব্যাসতি যাতনাম।।
(ইতি কর্ম্মবিপাকে)
উত্তম কূলেতে জন্মি কিবা ফলোদয়।
ব্রহ্মজ্ঞান বিহনে শূদ্র সম হয়।।
মনুষ্য জন্ম হয় চারি লক্ষবার।
ইহা জানি দু:খ চিন্তা নাহিক কাহার।
মিছা সেই আশা দেখ এই কলিকালে।
চারি লক্ষবার জন্ম হ’ত পূর্ব্বকালে।।
জপ তপ জাতি ধর্ম্ম আদি হত রক্ষা।
কিন্তু কলিকালে হয় এসব উপেক্ষা।।
বহু কষ।ট করি জন্ম পেয়েচ মানবে।
আর কি মনুষ্য জন্ম পাইবে এ ভবে।।
সাধু বলে ভাল পেলে জনম এবার।
মনুষ্য দুর্ল্লভ মুদিলে হয় সব অন্ধকার।।
মনুষ্য জন্মেতে সবে ঈশ্বরে ধেয়ায়।
তেমন মনুষ্য জন্ম বৃথা চলি যায়।।
নিস্পদ: পদচিন্তসী বাক্যচিন্ত চতুস্পদি
দেবৈর্মানব চিন্তসী মান বে কি করিষ্যসি।।
দেবতারা বাঞ্ছা করে মানব হইতে।
মানব হয়ে কেন যাবে চুরাশী যোনিতে।।
মানবের ব্রহ্মজ্ঞান যাহা কিছু হয়।
তাহা জানি জ্ঞানিজন শ্রীকৃষ্ণ ভজয়।।
শ্রীকৃষ্ণ ভজন বিনা গতি আর নাই।
কৃষ্ণ পাদপদ্মে ভক্তি রাখহ সবাই।।
জীবের স্বভাব হয় নিত্য কৃষ্ণদাস।
তাঁরে ভুলে গেলে পর হয় মায়া ফাঁস।।
শ্রীকৃষ্ণ ভজন বিনা জীবন্মুক্ত নহে।
আত্মজ্ঞান লভি সাধু জীবন্মুক্ত রহে।।
জীবন্মুক্ত হলে পরে কৃষ্ণপদ পাবে।
নতুবা মনুষ্য জন্ম বিফলেতে যাবে।।
অতএব শুন সাধু অধমের বাণী।।
শাস্ত্রমত কর কাজ নাহি হবে হানি।।
জয় জয় গৌরচন্দ্র জীবের জীবন।
কৃপা করি ক্ষমি দোষ শুদ্ধ কর মন।।
গোরাচাঁদের পাদপদ্ম হৃদে করি আশ।
পয়ার প্রবন্ধে কহে শ্রীচরণ দাস।।
……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….