(তাল-একাঙ্গী)
যদি কেউ হরিচাঁদ নামে দয়াল থাক এই ধরা পরে
পতিত পাবন হেতু দয়া কর এ পামরে।
নাথ! কভু না দেখি নয়নে, সাধু মুখে শুনি কানে,
ডাকিলে কাঙ্গাল জনে, তুমি দেখা দাও তারে।
হরিচাঁদ নামে কত, ভবে আছে অগণিত,
তুমি বিনে দীননাথ, আর আমি ডাকি না কারে।
ডাকি সে হরিচাঁদে, যার লাগি প্রাণ কাঁদে,
যে বেঁধে ভক্তির ফাঁদে, জন্মিলা যশোমন্তের ঘরে।
যে হরি পাপীর জন্য, ওড়াকান্দি অবতীর্ণ,
যশোমন্তের বাঞ্ছা পূর্ণ, যে রামকান্তের বরে।
রাণী কি সৌভাগ্য করেছিল, অনায়াসে গোবিন্দ পেল,
বাসুদেবে কক্ষে ছিল, গাইল মধুর স্বরে।
ভক্ত বাক্য রক্ষা হেতু, জীবে দিতে মুক্তি সেতু,
নবম বৎসর পরে, অন্নপূর্ণা মা’র উদরে।
যদি নাহি দিবে দেখা, কেন হে কাঙ্গাল সখা,
অযোগ্য দাস হরিবরে, আনিলে এ ধরা পরে।
যতদিন না দেখা পাব, আশা পথ চেয়ে রব,
ভুলিব না পিতৃভাব, তুমি যেন সন্তানরে।
যদি কহ হে নিরদয়, আমি যে তব পিতা নয়,
সম্বন্ধহীন যদি কেউ হয়, প্রাণ কাঁদে কি তার তরে।
জাগ্রত পিপাসা নয়ন, পাব বলে তব দর্শন,
কখন চাহে না দেখিতে কৃষ্ণ বিষ্ণু হরি হরে।
…………………………………………………………..
হরিবর সরকার।