ভবঘুরেকথা

(তাল-ঢিমেতেওট)
হরি বিনোদ বেশে বিরাজ কর এসে, আমার হৃদি বৃন্দাবনে।
দশ ইন্দ্র যাগ ভঙ্গ কর, শরণ দেও চরণে।

জীবাত্মা ব্রহ্মার দর্প টায় ঘুচাও হে ঠাকুর।
নাশ অজ্ঞান বকপাপ অঘাসুর হে।
দশ বায়ু দশ রাখাল সনে, চিত্তগুহা গোবর্ধনে,
নববিধ ভক্তি ধেনুগণে, ভুঞ্জাও পুণ্য লতার জ্ঞান অঙ্কুর।
ত্রিতাপ দাবানল শীতল কর হে জলদ বরণ,
কর অষ্টপাশ কানন দলন, গোপাল গোচারণে।

পুণ্য তলায় ফল বর্গ ফল, টায় সুকৃতি ফল,
তাহে মুক্তি কুসুম পঞ্চদল হে।
আত্মারাম রাম দাদার সাথে, সাধন বায়স চরাও তাতে,
আরও নব ধেনুর চর্বণেতে, আশা মূলসহ কর নিস্ফল।
বিষ কালিদহ কাম কালীয়ে কর দমন।
ও তার পঞ্চজন সহকারী সম্মিলনে।

হইয়ে আনন্দ শ্রীনন্দ বাজাক জয় ভেরী,
পোহাক নিরানন্দ শর্বরী হে।
হবে স্নেহ মাতা নন্দরাণী, দিবে বাৎসল্য রস নদী,
নাচ সখ্যরসে নীলমণি, দেখবে শান্ত গোল দাস্য নারী।
মেখে শ্রদ্ধা চন্দনে অনুরাগ তুলসী,
কালশশী হে! দিব তোমার ঐ চরণে।

অকাম কাম রাধা আরাধা
নিত্য কিশোরী লইয়া রাস কর রাসবিহারী হে।
ও সে সহস্রার কুঞ্জেতে গমন, কর হে শ্যাম রাধারমণ,
কর মধুর রসে মধুর মিলন, মোহন রসরাজ বেশ তাই হেরী,
আমার রাগময়ী গোঁসাই, গোলক কুঞ্জ সেবায় বাধ্য
তারকের কেবল সাধ্য নাই হে ঐ রূপ দরশনে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!