ভবঘুরেকথা

(তাল-ঢিমেতেওট)
হরিচাঁদ করুণা গুরু তরুতলে, বসে মন থাক অক্ষয় মূলে।
হবে ত্রিতাপ বারণ রে,
জুড়াবে জীবন, শীতল হবি শীতল ছায়ায় গেলে।
(আরে ও আমার মন)

এ যে অসার সংসার রে,
শ্রম মাত্র সার তিলেক, বিশ্রাম নাই তার কোন কলে,
পরিশ্রম যন্ত্রণায় রে,
ক্ষীণ হল কায় শীতল হবি সে ছায়ার হিল্লোলে।
শীতল হবি শীতল ছায়ায় গেলে।
(আরে ও আমার মন)

যে জন বৃক্ষ তলায় রয় রে,
নাই তার চোরের ভয়, লেংটার কি ভয় আছে দস্যু বলে
আছে দস্যু একজন রে,
নাম তার মদন তার ভয় থাকে না, সে ছায়ায় রসিলে।
শীতল হবি শীতল ছায়ায় গেলে।
(আরে ও আমার মন)

করলে বৃক্ষলতা সার রে,
আর এক কৌশল তার রাজায় নেয় না কর দুঃখী বলে,
তথা নাহি রবির কর,
রবিসূত কিঙ্কর ভয়ে পলায় বাপের ঠাকুর বলে।
(ও সে শমন রাজা)

তথায় শুতে চিন্তা নাই রে,
খেতে চিন্তা নাই, ফলের অভাব নাই ফল কতই ফলে,
খেলে নামামৃত ফল রে,
মিলবে প্রেম ফল, ফলের আশা নিস্ফল এককালে।
(ও মন সে ফল খেয়ে)

পেয়ে বৃক্ষের মূল স্কন্ধরে,
গোঁসাই গোলকচন্দ্র প্রেমানন্দে তায় সদা দোলে,
দয়াল মহানন্দ কয় রে,
ওরে তারক আয় সবে মিলে, যাই সে ছায়ার তলে।
(হরি হরি বলে)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!