(তাল গড়খেমটা)
এবার শুনলেম মতুয়ার পাড়া, যেয়ে দেখলেম মতুয়ার পাড়া।
যত মতুয়া মাতাল হয়ে বেহাল, কাজ করে বেদ বিধি ছাড়া।।
মতুয়া পাড়া উথছে সারা শুনলেম তাঁদের আইন কড়া;
কারুর কুলের গৌরব থাকলে পড়ে, এদলে এসে কেহ হ’সনে খাড়া।।
আদি মতুয়া ওড়াকান্দি নদীয়ায় ছিলেন শচীর গোরা;
ও সে মায়ের করার শুধব বলে এসেছে ওড়াকাঁদি নিমাই নাড়া।।
কাজের মতুয়া নারিকেল বাড়ি অনুরাগে তনু পোরা;
ও যার হহুংকারে গোলোক লড়ে তার কাছে বাউল গৌড়ে প’ল ধরা।।
আর এক মতুয়া নারিকেল বাড়ি প্রেমানন্দে মাতোয়ারা
তারে দেখলে ভোলে পুরুষ নারী, নবদ্বীপ ছিলেন তিনি নিতাই নাড়া।।
আর এক মতুয়া রাউতখামার বীর করুণা রসে হয় ভরা;
ওসে মরিলে বাঁচাইতে পারে পাথারে ভ্রমন করে নৌকা ছাড়া।।
আর এক মতুয়া জয়পুরে রয় নবরসে তনু ভরা;
ও যার নাম নিলে হয় শমন দমন, নামটি তার তারকব্রহ্ম রসের চুড়া।।
মতুয়া নামের কি মাহাত্ম্য ইহা নি কেউ জানিস তোরা;
তাঁরা কতক গোপী কতক কপি এ যুগেতে একমত হয়েছে জোড়া।।
অশ্বিনী কয় দিন বয়ে যায়, ধরলাম না সেই মতুয়ার ধারা;
স্বামী মহানন্দের দয়া বিনে, হয়েছি গুরু চাঁদের চরণ ছাড়া।।