শ্লোক
অশ্বমেধগবালম্বে সন্ন্যাসপলপৈতৃকম।
দেবরেণ সুতোৎপত্তি কলৌ পঞ্চ বিবর্জিতম্।।
পয়ার
মাধুর্যের মধ্যে নাই সন্ন্যাসের ধর্ম।
সন্ন্যাসীর ন্যাসযোগে ঐশ্বর্যের কর্ম।।
অকামনা শুদ্ধ প্রেম সভক্তি আশ্রয়।
দিবে জীবে আচরিবে তাহা কই হয়।।
ভক্ত পক্ষে সন্ন্যাস ঘৃণিত অকারণ।
তার লেশ বেশ কেন করিলি ধারণ।।
ব্রহ্মত্ব সাধুজ্য মুক্তি কৃষ্ণভক্তে দণ্ড।
হরিনামে পাপ ক্ষয় কহে কোন ভণ্ড।।
মুক্তিশ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যে যারা ভক্তি নাহি চিনে।
হরিনামে পাপ ক্ষয় তারা ইহা মানে।।
মুক্তিকে যে তুচ্ছ করে ভক্তি করে সার।
পুণ্যকে না দেয় স্থান পাপ কোন ছার।।
হরিনামে প্রেমপ্রাপ্ত সাধুদের বাণী।
প্রেমরূপা আহ্লাদিনী রাধাঠাকুরানী।।
যেই নাম সেই হরি শ্রীমুখের বাক্য।
জীবে কেন মনে প্রাণে নাহি করে ঐক্য।।
নাম সুপ্রসন্ন হ’লে আহ্লাদিনী পাই।
বিশুদ্ধ পীরিতি ব্যাখ্যা আর বাক্য নাই।।
শুদ্ধ মানুষেতে আর্তি নৈষ্ঠিক ভজন।
তার কিসে গয়া কাশী আর বৃন্দাবন।।
বেহালের বেশ মাত্র দণ্ড যে ধারণ।
জ্ঞানমিশ্রা ভক্তি এত আইল এখন।।
এত বাহ্য কহে যেই তার কেন দণ্ড।
এ কারণ নিত্যানন্দ দণ্ড কৈল খণ্ড।।
অন্তরে উল্লাস প্রভু বাহ্যে খেদান্বিত।
নিত্যানন্দ প্রেমে প্রভু হইল প্রতীত।।
এইভাব মহাপ্রভু দেখিল আচরি।
এ লীলায় প্রেম কই আচরিতে পারি।।
মহাভাবে দণ্ডভঙ্গ নিতাই মাতিল।
সে ভাব লইতে প্রভুর বাকী পড়ে গেল।।
এ কারণ অবতার হৈল প্রয়োজন।
এ লীলায় করিলেন সে ভাব গ্রহণ।।