(তাল-যৎ)
হরে কৃষ্ণ হরি বল
মন তোর সাধের দিন ত অন্ত হ’ল।
একবার দিনান্তে শ্রীকান্ত বল, ঐ দেখ দুরন্ত কৃতান্ত এল।।
আশী লক্ষ জন্ম পরে জন্ম নিলা নরোদরে,
মন আমার এবার অসার সংসারে, আপন সারা সার,
মন তোর কুলাবে না এ পশারে, কুল পাবি না এ সংসারে।
কেবল অনর্থক যাওয়া আসা রে, পারে সারাৎসারে লয়ে চল।।
হরিপদে দিয়ে হিয়ে, নাচ হেলে দুলে হয়ে কুতূহল,
প্রাণান্তে আর পান করিস না বিষয় হলাহল,
কর হরি বলে কোলাহল, যা হয়ে গেছে তা’ত হল,
এবার হাল ছেড়ে হ’গে বেহাল, তবে পাবি হরির পদ কমল।।
হয়ে বলে গেছেরে ভাই যা আছে সামলে রেখে তাই,
মনরে হরি বললে পরে, ছোবে না আর শমন রে,
ভাব সে রাধার মনে, তবে ভাবনা কি মরণ রণে,
জীব জীবনে ভবনে বনে, কেবল হরিবল হরিবল।।
হরিনাম তরণী করে, যেতে হবে ভবপারে,
এইবার আছে সম্মুখে, অপার ভব পারাবার,
কেবল আসা যাওয়া বারে বারে, বিপদহারী বিনে কে নিবারে,
এল ভক্তি রতন কিনিবারে, এ হাট ভেঙ্গে গেলে তা কই হল।।
গোঁসাই গোলকচাঁদ কয় ওরে হরে, ছয় চোরে ধন নিল হরে,
এসময় সহজ প্রেমে কাতর, এ প্রেমে তার কর্ম নয়,
যদি ইচ্ছা ভবপারে, ডুব গে গুরুচাঁদের ভাব সাগরে,
বলে কয়ে চরণ ধরে, মহানন্দে লয়ে চল।।