যে জন ভব-নদীর ভাব জেনেছে
যে জন ভব-নদীর ভাব জেনেছে,
তার কিসের ভয় আছে।
ও সে ভাটার সময় ভেটেয় না রে
জোয়ারে গুণ ধরে দিয়েছে।।
দিনের বেলা জোয়ার এলে
ব’সে থাকে নদীর কূলে,
যায় না তার কাছে।
হলে নিশিযোগে চাঁদের উদয়
ফাঁদ পেতে চাঁদ ধরে নিয়েছে।।
ভব-নদীর অকূল পাথার,
জলের ভঙ্গী কি চমৎকার,
তিনটি ধারা আছে।
তার এক ধারার জল অতি সরল,
তিন ধারায় এক পাক পড়েছে।।
যে চেনে সে ত্রিবেণীর ধার
প্রেমানন্দে দিচ্ছে সাঁতার,
তার বিপদের ভয় কি আছে।
ও সে পাঁকাল মাছের মত
পাঁকের মধ্যে ফাঁক পেয়েছে।।
ফটিক বলে, রসিক যারা,
ভাব জেনে ঝাঁপ দিচ্ছে তারা,
বিপদ নাই তা’র কাছে।
ও সে স্বরূপেতে রূপ মিশায়ে
মনের মানুষ বলে কাঁদতেছে।।
-ফটিক গোঁসাই
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- গোপালগঞ্জ মহকুমার (ফরিদপুর জেলা) মাচকান্দী গ্রামের নম:শূদ্র বংশে ইঁহার জন্ম হয়। বহুদিন নবদ্বীপবাসী ছিলেন, বছর পনর হইল দেহরক্ষা করিয়াছেন। ফরিদপুর, খুলনা ও বাখরগঞ্জ জেলায় বহু শিষ্য আছে। ইহার গানগুলি খুলনার নম:শূদ্র-জাতীয় বাউল সতীশের নিকট হইতে সংগৃহীত।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….