আঁধার ঘরে সে ধন
তত্ত্ব ক’রে আঁধার ঘরে সে ধন কি যায় রে চেনা।
আঁধারে খুঁজলে পরে পড়বি ফেরে, সে ধন হাতে আর পাবে না।
যেখানে আছে সে ধন, মাণিক রতন,
যতন বিনা যায় কি জানা।
জ্বালায়ে রঙের বাতি, তড়িৎ-ভাতি,
চিনে নে রাঙ কি সোনা।।
কতজন কতো ভাবে তারে ভাবে,
ভাবে রে তার লেনা-দেনা,
সে যে সব ভাবাতীত,
ভাব ব্যতীত তারে লাভ হবে না।
নিশিতে শাখা খুলে শশীর কোলে
অরূপের রূপ দেখে নে না।।
হারালে শশীর কিরণ
হারাবি ধন,
ভোর হ’লে সে আর রবে না।।
দীনহীন পুণ্যে বলে, আলোক জ্বেলে
পলকে সেরূপ দেখে নে না।
শ্রীগুরুর কৃপা বিনে অন্ধ জনার নজরে পড়ে না।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পর্যায়ের গানগুলি বীরভূম, বাঁকুড়া, মোদিনীপুর, বর্ধমান, নদীয়া, চব্বিশ পরগণা যশোহর, ফরিদপুর, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলার নানা স্থান হইতে বিভিন্ন সময়ে সংগৃহীত এবং এই মতবাদের সাধিকা নবদ্বীপের শ্রীমতী অমিয়বালা দাসীর গানের সংগ্রহ খাতা ও ঘোষপাড়ার নিকটবর্তী মদনপুরের ফকির আকবর শাহের সংগীত সংগ্রহ খাতা হইতে গৃহীত।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….