ভবঘুরেকথা
ব্রতোৎসব

ব্রতোৎসব

-নীহাররঞ্জন রায়

যাত্রা, ধ্বজপূজা প্রভৃতি মতো ব্রতোৎসবও বাঙালীর ধর্মজীবনে একটি বড় স্থান অধিকার করিয়া আছে। এই ব্রন্তোৎসবের ইতিহাস অতি জটিল ও সুপ্রাচীন তবে এই ধরনের ধর্মোৎসব যে প্রাক-বৈদিক আদিবাসী কোমদের সময় হইতেই সুপ্রচলিত ছিল এ-সম্বন্ধে সংশয় বোধ হয় নাই।

আর্য-ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি যাহাদের বলিয়াছে ‘ব্রাত্য’ বা ‘পতিত’ তাহারা কি ব্রতধর্ম পালন করিতেন। বলিয়াই ব্রাত্য বলিয়া অভিহিত হইয়াছেন এবং সেইজন্যই কি আর্যরা তাঁহাদের পতিত বলিয়া গণ্য করিতেন? বোধ হয় তাহাই।*

অন্তত সাংস্কৃতিক জনতত্ত্বের আলোচনায় ক্রমশ এই তথ্যই যেন সুস্পষ্ট হইতেছে যে, আমাদের গ্রাম্য-সমাজে বিশেষভাবে নারীদের ভিতর, যে-সব ব্রত আজও প্রচলিত আছে তাহার অধিকাংশই অবৈদিক, অস্মার্ত, অপৌরাণিক ও অব্রাহ্মণ্য এবং মূলত গুহ্য যাদু ও প্রজনন শক্তির পূজা, যো-পূজা গ্রাম্য কৃষিসমাজের সঙ্গে একান্ত সম্পূক্ত।

ঋগ্বেদ হইতে আরম্ভ করিয়া আমাদের প্রাচীন ধর্মশাস্ত্র, ধর্মসূত্র কোথাও কোনও প্রচলিত ব্রতের কোনও উল্লেখ পর্যন্ত নাই। আদি বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণ্যধর্ম যে এই ধর্মানুষ্ঠানকে স্বীকার করিত না এতথ্য পরিষ্কার। অশোক তো স্পষ্টই বলিয়াছেন, গ্রাম্য লোকায়াত ধর্মের আচারানুষ্ঠান তিনি পছন্দ করিতেন না।

যে-সব ব্রত এই ধরনের স্বীকৃতি ও মর্যাদা লাভ করিয়াছে তাহাদের অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণ পুরোহিতের প্রয়োজন হয়, যে-সব করে নাই সে-সব ক্ষেত্রে কোনও পুরোহিত্যেরই প্রয়োজন হয় না; গৃহস্থ মেয়েরাই সে-সব পূজা নিষ্পন্ন করিয়া থাকেন।

বিশেষত নারীদের মধ্যে প্রচলিত নানাপ্রকারের মঙ্গলানুষ্ঠান প্রভৃতি তাহার বড়ই অগ্ৰীতিকর ছিল। তিনি তঁহাদের আহ্বান করিয়াছিলেন এই সব মঙ্গলানুষ্ঠান ছাড়িয়া তাহারই অনুমোদিত ধর্মমঙ্গলের পথে চলিবার জন্য। নারীসমাজে প্রচলিত এইসব মঙ্গলানুষ্ঠান বলিতে অশোক ব্রতানুষ্ঠানের কথাই বলিয়াছিলেন, সন্দেহ নাই, আর, সাধারণ মঙ্গলানুষ্ঠান বলিতে মধ্যযুগীয় বাঙলার মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল ইত্যাদি জাতীয় পুরাপ্রচলিত পূজানুষ্ঠানের ইঙ্গিতই হয়তো করিয়া থাকিবেন।

কিন্তু সে যাহাই হউক, বিষ্ণুপৰ্ব্বাণ, অগ্নিপুরাণ প্রভৃতি প্রধান প্রধান পুরাণগুলি যখন সংকলিত হইতেছিল তখন এবং বোধ হয় তাহার কিছুকাল আগে হইতেই ব্রতানুষ্ঠানের প্রতি আর্য-ব্রাহ্মণ্য ধর্মের মনোভাবের পরিবর্তন হইতেছিল, কারণ এই সব পুরাণে দেখিতেছি, লৌকিক অনেক ব্রতানুষ্ঠান ব্রাহ্মণ্যধর্মের অনুমোদন লাভ করিয়া ঐ ধর্মের কুক্ষিগত হইয়া পড়িয়াছে এবং ব্রাহ্মণেরা সেই সব অবৈদিক, অস্মার্তা অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্যও করিতেছেন।

প্রাক-আর্য ও অনার্য নরনারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় আর্য-ব্রাহ্মণ্য সমাজ-সীমায় গৃহীত হইবার ফলেই ইহা সম্ভব হইয়াছিল, সন্দেহ নাই। বাঙলাদেশে সমস্ত আদি ও মধ্যযুগ ব্যাপিয়া শতাব্দীর পর শতাব্দীর ভিতর দিয়া বহু অবৈদিক, অস্মার্ত, অপৌরাণিক ব্রতানুষ্ঠান এইভাবে ক্রমশ ব্রাহ্মণ্যধর্মের স্বীকৃতি লাভ করিয়াছে; আজও করিতেছে।

যে-সব ব্রত এই ধরনের স্বীকৃতি ও মর্যাদা লাভ করিয়াছে তাহাদের অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণ পুরোহিতের প্রয়োজন হয়, যে-সব করে নাই সে-সব ক্ষেত্রে কোনও পুরোহিত্যেরই প্রয়োজন হয় না; গৃহস্থ মেয়েরাই সে-সব পূজা নিষ্পন্ন করিয়া থাকেন।

আমাদের চোখের সম্মুখেই দেখিতেছি, পঁচিশ বৎসর আগে গ্রামাঞ্চলে যে সব ব্রতানুষ্ঠানে পুরোহিত্যের প্রয়োজন হইত না আজ সে-সব ক্ষেত্রে পুরোহিত আসিয়া মন্তর পড়িতে আরম্ভ করিয়াছেন, অর্থাৎ সেই সব ব্রত ব্রাহ্মণ্যধর্মের স্বীকৃতি লাভ করিয়াছে। তবু, আজও যে-সব ব্রত এই স্বীকৃত-সীমার বাহিরে তাহাদের সংখ্যা কম নয়; সম্বৎসর ব্যাপিয়া মাসে মাসে এই সব বিচিত্র ব্রতের অনুষ্ঠান আমাদের গ্রাম্য সমাজ-জীবনকে এখনও কতকটা সচল ও সজীব করিয়া রাখিয়াছে এবং বাঙালীর ধর্মকর্মে এই সব ব্রতানুষ্ঠান খুব বড় একটা স্থান অধিকার করিয়া আছে। অগণিত এই সব ব্রতের মধ্যে কয়েকটি তালিকাবদ্ধ করিতেছি :

বৈশাখে- পুণ্যপুকুর ব্রত (বারি বর্ষণের জন্য গুহা যাদুশক্তির পূজা), শিবপূজা ব্রত (প্রজনন শক্তির পূজা), চম্পা-চন্দন ব্রত (ঐ), পৃথ্বীপূজা ব্রত (ঐ এবং গুহ্য যাদুশক্তির পূজা), গােকাল ব্রত (কৃষিসংক্রান্ত প্রজনন শক্তির পূজা), অশ্বত্থপট ব্রত (ঐ), হরিচরণ ব্রত (গুহ্য যাদুশক্তির পূজা), মধুসংক্রান্তি ব্রত (ঐ), গুপ্তধন ব্রত (ঐ), ধানগোছানো ব্রত (ঐ), যাচাত পান ব্রত (ঐ), তেজোদর্পণ ব্রত (ঐ), রণে এয়ো ব্রত (ঐ), দশ পুতুলের ব্রত (ঐ), সন্ধ্যামণি ব্রত (ঐ), থোয় থায়ি ব্রত (ঐ), বসুন্ধরা ব্রত (বারি বর্ষণের জন্য প্রজনন শক্তির পূজা)।

জন্মাষ্টমী পূজা ও স্নানের কথাও জীমূতবাহন বলিয়া গিয়াছেন। ইহাদের কতকগুলি ব্রত একান্তই আদিম কৌম সমাজের ব্রতগুলির পরিবর্তিত, পরিমার্জিত রূপ; আবার কতকগুলি আদিম কীেম সমাজের ব্রতের আদর্শ এবং ভাবানুযায়ী নূতন ব্রতের সৃষ্টি। তিথি-নক্ষত্র আশ্রয় করিয়া যে-সব ব্রন্তোৎসব আছে তাহার।

জ্যৈষ্ঠ- জয়মঙ্গলের ব্রত (প্রজনন শক্তির পূজা)।। ভদ্রে- ভাদুরি ব্রত (কৃষিসংক্রান্ত গুহ্য যাদুশক্তির পূজা), তিলকুজারি ব্রত (কৃষিসংক্রান্ত প্ৰজনন শক্তির পূজা)।

কার্তিকে- কুলকুলটি ব্রত (গুহ্য যাদুশক্তির পূজা), ইতুপূজা ব্রত (প্রজনন শক্তির পূজা)। অগ্রহায়ণে- যমপুকুর ব্রত (কৃষি সংক্রান্ত প্ৰজনন শক্তির পূজা), সেঁজুতি ব্রত (গুহ্যু যাদুশক্তির পূজা), তৃষাতুষালি ব্রত (কৃষিসংক্রান্ত প্রজনন শক্তির পূজা)।

মাঘে- তারণ ব্রত (কৃষি সংক্রান্ত প্রজনন শক্তির পূজা), মাঘমণ্ডল ব্রত (ঐ)। ফাল্লুনে- ইতুকুমার ব্রত (ঐ), বসন্তু রায় ও উত্তম ঠাকুর ব্রত (ঐ), সসপাতা ব্রত (ঐ)। চৈত্রে– নখছুটের ব্রত (গুহ্য যাদুশক্তির পূজা)।

এগুলি ছাড়াও বাঙালীর অন্তঃপুরে আরো অনেক ব্রত আছে যাহা মূলত গুহ্য যাদুশক্তি ও প্ৰজনন শক্তির পূজারূপে আদিবাসী কোমদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। তেমন অনেক ব্রত ইতিমধ্যেই ব্রাহ্মণ্যধর্ম কর্তৃক স্বীকৃত হইয়া আমাদের শুভকর্ম পঞ্জিকাতেও স্থান পাইয়া গিয়াছে, যেমন, ষষ্ঠী ব্রত, মঙ্গলচণ্ডী ব্রত, সুবচনী ব্রত ইত্যাদি।

ব্রাহ্মণ্যধর্ম কর্তৃক স্বীকৃত এবং প্রাচীন বাঙলাদেশে প্রচলিত ব্রতের একটি তালিকা প্রাচীন বাঙলার স্মৃতিগুলি হইতেই ছাকিয়া বাহির করা যায়-

সুখরাত্রি ব্রত (কাৰ্তিক মাস), পাষাণ-চতুর্দশী ব্রত (অগ্রহায়ণ), দূত-প্রতিপদ ব্রত (কার্তিকেয় শুক্ল প্রতিপদ), কোজাগর-পূর্ণিমা ব্রত (আশ্বিনের পূর্ণিমা), ভ্ৰাতৃদ্বিতীয়া ব্রত (কার্তিক), আকাশ-প্ৰদীপ ব্রত (কার্তিক), অক্ষয়-তৃতীয়া ব্রত, অশোকাষ্টমী ব্রত ইত্যাদি। এই সব ক’টি ব্রতের উল্লেখ জীমূতবাহনের কালবিবেক-গ্রন্থে পাওয়া যায়।

জন্মাষ্টমী পূজা ও স্নানের কথাও জীমূতবাহন বলিয়া গিয়াছেন। ইহাদের কতকগুলি ব্রত একান্তই আদিম কৌম সমাজের ব্রতগুলির পরিবর্তিত, পরিমার্জিত রূপ; আবার কতকগুলি আদিম কীেম সমাজের ব্রতের আদর্শ এবং ভাবানুযায়ী নূতন ব্রতের সৃষ্টি। তিথি-নক্ষত্র আশ্রয় করিয়া যে-সব ব্রন্তোৎসব আছে তাহার।

মালদহ অঞ্চলে যে গম্ভীরার পূজা বা বাঙলার অন্যত্র যে শিবের গাজন হয় তাহা এই চড়ক পূজারই বিভিন্নরূপ। শিবের গাজন যেমন, ধর্মঠাকুরেরও তেমনই গাজন আছে এবং এই গাজন-উৎসবের দুইটি প্রধান অঙ্গ, একটি ঘরভরা বা গৃহাভরণ এবং অন্যটি ‘কালিকা পাতা’ বা “কালি-কাচ’ নৃত্য, অর্থাৎ নরমুণ্ড হাতে লইয়া কালি বেশে অর্থাৎ কালির প্রতিবিম্বে নৃত্য।

মূলে বহিরাগত শাকদ্বীপী ব্রাহ্মণদের কিছুটা প্রভাব বিদ্যমান, এ-কথা একেবারে অসম্ভব না-ও হইতে পারে। পুরাণগুলির ভিতর হইতেও ব্রাহ্মণ্যধর্ম কর্তৃক স্বীকৃত ব্রতের একটি তালিকা পাওয়া যায়, যেমন-

শিবরাত্রি ব্রত, অখণ্ড দ্বাদশী ব্রত, পূর্ণিমা ব্রত, নক্ষত্র ব্রত, দীপদান ব্রত, ঋতু ব্রত, কৌমুদী ব্রত, মদন বা অনঙ্গ ত্রয়োদশী ব্রত, রম্ভাতৃতীয়া ব্রত, মহানবমী ব্রত, বুধািষ্টমী ব্রত, একাদশী ব্রত, নক্ষত্রপুরুষ ব্রত, আদিত্যশয়ান ব্রত, সৌভাগ্যশয়ন ব্রত, রসকল্যাণী ব্রত, অঙ্গরক ব্রত, শর্করা ব্রত, অশূন্যাশয়ন ব্রত, অনঙ্গদান ব্রত ইত্যাদি।

কিন্তু প্রাচীন বাঙলায় এই সব ব্রতের কোন কোনটি প্রচলিত ছিল তাহা বলিবার কোনও উপায় নাই।

ব্রতোৎসবের বাহিরে বাঙালী সমাজের নিম্নস্তরে অন্তত দুইটি ধর্মানুষ্ঠান আছে যাহার ব্যাপ্তি ও প্রভাব সুবিস্তৃত এবং যাহা মূলত অবৈদিক, অস্মার্ত, অপৌরাণিক ও অব্রাহ্মণ্য। একটি ধর্মঠাকুরের পূজা ও আর একটি চৈত্র মাসে নীল বা চড়ক পূজা।

মালদহ অঞ্চলে যে গম্ভীরার পূজা বা বাঙলার অন্যত্র যে শিবের গাজন হয় তাহা এই চড়ক পূজারই বিভিন্নরূপ। শিবের গাজন যেমন, ধর্মঠাকুরেরও তেমনই গাজন আছে এবং এই গাজন-উৎসবের দুইটি প্রধান অঙ্গ, একটি ঘরভরা বা গৃহাভরণ এবং অন্যটি ‘কালিকা পাতা’ বা “কালি-কাচ’ নৃত্য, অর্থাৎ নরমুণ্ড হাতে লইয়া কালি বেশে অর্থাৎ কালির প্রতিবিম্বে নৃত্য।

………………….
* ব্রতের সঙ্গে ব্রাতাদের সম্বন্ধ কোনো অকাট্য প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। তবে, এই অনুমান একেবারে অযৌক্তিক ও অনৈতিহাসিক নাও হইতে পারে। ঋগ্বেদীয় আর্যরা ছিলেন যজ্ঞধর্মী; যজ্ঞধর্মী আর্যদের বাহিরে যাহারা ব্রতধৰ্ম পালন করিতেন, ব্রতের গুহ্য যাদুশক্তি বা ম্যাজিকে বিশ্বাস করিতেন তাহারাই হয়তো ছিলেন ব্রাত্য!

এই ব্রাত্যরা যে প্রাচ্যদেশের সঙ্গে জড়িত তাহা এই প্রসঙ্গে স্মর্তব্য এবং ইহাও লক্ষণীয় যে, ব্রতধর্মের প্রসার বিহার, বাঙলা, আসাম এবং উড়িষ্যাতেই সবচেয়ে বেশি। ব্রতকথাটির বুৎপত্তিগত অৰ্থ-ই বােধ হয় (বৃ-ধাতু জ্ঞ) আবৃত করা, সীমা টানিয়া পৃথক করা।

নির্বাচন করাই ব্রতের উদ্দেশ্য; বরণ কথাটিরও একই ব্যঞ্জনা। ব্রতানুষ্ঠানে আলপনা দিয়া অথবা বৃত্তাকারে সীমা রেখা টানিয়া ব্রতস্থান চিহ্নিত করিয়া লওয়া হয়; এই সীমা রেখা টানা স্থান নির্বাচন বা চিহ্নিত করার মধ্যে যাদুশক্তির বা ম্যাজিকের বিশ্বাস প্রচ্ছন্ন।

আমাদের দেশে মেয়েদের মধ্যে বরণ করার যে স্ত্রী-আচার প্রচলিত- যেমন নূতন বরের মুখের সম্মুখে হাত ও হাতের আঙুল নানা,ভঙ্গিতে ঘুরানাে, কুলার উপর প্রদীপ ইত্যাদি সাজাইয়া বরের দুই বাহুতে, বুকে কপালে ঠেকানো ও সঙ্গে সঙ্গে বরণের ছড়া উচ্চারণতাহার ভিতরেও ম্যাজিকেরই অবশেষ আজও লুক্কায়িত।

এই বরণের অর্থও অশুভ শক্তির প্রভাব হইতে পৃথক করা, আবৃত করা, নির্বাচন করা। ব্রত এবং বরণের স্ত্রী-আচারগুলি লক্ষ্য করিলেই ইহাদের, সমগোত্রীয়তা ধরা পড়িয়া যায় এবং গোড়ায় যে ইহাদের সঙ্গে ম্যাজিকের সম্বন্ধ ঘনিষ্ঠ ছিল তাহাও পরিষ্কার হইয়া যায়।

ব্রত এবং বরণ উভয় অনুষ্ঠানেই শুধু মেয়েদেরই যে অধিকার এ তথাও লক্ষণীয়। এই মাজিক-বিশ্বাসী ব্রতচারী লোকেরাই ঋগ্বেদীয় আর্যদের চােখে বােধ হয় ছিলেন ব্রাত্য!

হোলী বা হোলক উৎসব>>

………………….
বাঙালীর ইতিহাস (আদিপর্ব) : নীহাররঞ্জন রায়।

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

……………….
আরও পড়ুন-
দর্শনের ইতিহাস বিচার
আইয়োনীয় দর্শন
টোটেম বিশ্বাস
নির্ধারণবাদ
বিতণ্ডাবাদী
অতীন্দ্রিয় রহস্যবাদ
জনগণের দর্শন ও বস্তুবাদী দর্শন
লোকায়ত ও সাংখ্য
লোকায়ত, বৈষ্ণব, সহজিয়া
প্রকৃতিবাদী দার্শনিকবৃন্দ

…………….
আরও পড়ুন-
মনসা পূজা
অম্বুবাচীর পারণ
চড়কপূজা
ব্রতোৎসব
হোলী বা হোলক উৎসব
ধর্মঠাকুর
যুক্তি / সমন্বয়
প্রাক-আর্য ধ্যান-ধারণা
আর্যপূর্ব ও আর্যদের ধর্ম
রহস্যময় কামাখ্যা মন্দির

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!